ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

শিক্ষার্থীদের মাঝে ন্যূনতম মূল্যে হ্যান্ডসেট প্রদানের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২০

পেঁয়াজ আমদানির মতো দুই মাসের জন্য ফোরজি ডিভাইস আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহার করে অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফ্রি অথবা ন্যূনতম মূল্যে সংযোগসহ হ্যান্ডসেট প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে স্বল্প খরচে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির প্রস্তাবনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ সংগঠনের সব দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, দেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা। সরকারের উচিত কর কমিয়ে ফ্রি অথবা স্বল্পমূল্যে হ্যান্ডসেটসহ সংযোগ প্রদান করতে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান মারগুব মোর্শেদ বলেন, কমিশন চাইলে ট্যারিফ শূন্য ঘোষণা করে তরঙ্গ বরাদ্দ দিতে পারে। এতে গ্রাহক উপকৃত হবে। সেই সঙ্গে সব শিক্ষার্থী মানসম্পন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পাবে। রাষ্ট্রও পর্যাপ্ত রাজস্ব আদায় করতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র শিক্ষক খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে আমরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছি। আরও অনেক আগেই সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন ছিল। দুই বা তিন বছরের চুক্তির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেটসহ হ্যান্ডসেট প্রদানে সব প্রতিবন্ধকতা নিরসন করা উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, মজুতদার ব্যবসায়ীদের মতো আচরণ সরকারের কাছে আশা করি না। তরঙ্গ জিম্মি করে সরকার ব্যবসা করুক এটা আমরা চাই না। দ্রুত জাতীয় সম্পদ তরঙ্গকে জাতীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বর্তমানে করোনা মহামারিতে শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশাসনিক, আদালত, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও দৈনন্দিন সব কার্যক্রমের একমাত্র মাধ্যম টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা। করোনা মহামারিতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে এ মাধ্যম। প্রয়োজন পড়েছে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির সেবার। চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৫০ গুণ। ইতিমধ্যে ইন্টারনেটর গ্রাহক বেড়ে হয়েছে প্রায় ১০ কোটি ২১ লক্ষ ১৩ হাজার। ডাটার ব্যবহার বেড়েছে ২৫ শতাংশ। বিপুল চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহক ভোগান্তিও বেড়েছে বহুগুণ। অন্যদিকে উচ্চমূল্য ও ইন্টারনেটের ধীরগতি থাকায় ৪৫ শতাংশ গ্রাহক এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর কথা থাকলেও ডিভাইস স্বল্পতা, দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ডাটার উচ্চমূল্য থাকার কারণে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আবু সালেহ, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক, বাংলাদেশ মোবাইল রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এএস/এএইচ/পিআর