ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সৎ থেকে দায়িত্ব পালনই চ্যালেঞ্জ : ওসি আদাবর

প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ থানাগুলোর মধ্যে আদাবর অন্যতম। রাজনৈতিক কারণেও এই থানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জনবসতিপূর্ণ এলাকাও বটে। আদাবরে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। এমন একটি থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে গত ১৪ অক্টোবর যোগদান করেন শেখ শাহিনুর রহমান। এর আগে রাজধানীর বনানী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
 
শেখ শাহিনুর রহমানের দেশের বাড়ি বাঘেরহাট সদরে। সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। থাকেন ক্যান্টনম্যান্ট এলাকার ভাড়া বাসায়।
 
আদাবর থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নতুন কর্মস্থল ও নতুন পদে কাজের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সম্প্রতি জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা হয়েছে তার। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য এর চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
 
জাগো নিউজ : জাগো নিউজের পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা। কেমন আছেন?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : জাগো নিউজকেও শুভেচ্ছা। জ্বি আমি ভালো আছি।
 
জাগো নিউজ : আপনিতো মাত্র কয়েকদিন হলো আদাবর থানার দায়িত্বে এসেছেন। আদাবর থানার সহকর্মীরা আপনাকে কেমন সহযোগিতা করছেন?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : সহকর্মীরা অনেক হেল্পফুল। আমি তো এর আগে ওসি’র দায়িত্বে কখনো ছিলাম না। এর আগে আমি সর্বশেষ বনানী থানার ইন্সপেক্টর তদন্তের দায়িত্বে ছিলাম। পদোন্নতির কারণে ওসি হিসেবে এই থানায় যোগদান। ওসি হিসেবে সহকর্মীদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
 
জাগো নিউজ : নানা কারণে ডিএমপির অন্যান্য থানার মধ্যে আদাবর থানাও গুরুত্বপূর্ণ। এ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : মাত্র ১৫ দিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোনো কারণে সেরকম কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
 
জাগো নিউজ : রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে আদাবর অন্যতম। এ থানা এলাকায় অপরাধের ধরণগুলো কেমন?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : দায়িত্বে আসার পরেই অপরাধ মানচিত্র নিয়ে বসেছিলাম সহকর্মীদের সঙ্গে। এখানকার অপরাধ সীমিতই মনে হয়েছে। উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ড হচ্ছে না। আমি আসার পর প্রথম ২দিনে কোনো মামলা হয়নি। কয়েকটা মাত্র জিডি হয়েছিল।
 
জাগো নিউজ : বড় কোনো ঘটনার অগ্রগতি সম্পর্কে যদি বলেন?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : মাত্র এসেছি। আগে এডজাস্ট করে নেই। এরপর খোঁজ খবর নিয়ে সব জানা যাবে। আমি যখন এসেছি, অপরাধী যেই হোক ছাড় পাবে না।
 
জাগো নিউজ : থানায় জিডি হলে পুলিশের কোনো তৎপরতা থাকে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেন না- এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। আপনার এ সম্পর্কে কোনো ইনকুয়ারি রয়েছে কিনা?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : পুলিশের কাজই সাধারণ মানুষকে সেবা দেয়া। আমি থানায় আসার পর এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাই নি। জিডি তো হচ্ছেই। অভিযোগ পেলে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
 
জাগো নিউজ : আপনি তো বললেন আপনার থানার অপরাধ মানচিত্র রয়েছে। মানচিত্রে কোন কোন এলাকা অপরাধকর্মের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : হুম, আমাদের থানা এলাকার অপরাধ মানচিত্র রয়েছে। আদাবর থানার মধ্যে উত্তর আদাবর, লিঙ্ক রোড, জেনেভা ক্যাম্প, মনসুরাবাদ, মোহনপুর, হাউজিং সোসাইটি এলাকা ও শ্যামলী বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এসব এলাকায় সব সময় পুলিশি টহল টিম থাকে।
 
জাগো নিউজ : রাজনৈতিক কিংবা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কোনো চাপ রয়েছে কি না?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : না রাজনৈতিক বা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কোনো চাপ নেই। তবে সম্প্রতি জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে নাশকতার আশঙ্কায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত ছোট কিছু অপারেশন তো থাকেই।
 
জাগো নিউজ : প্রয়োজনের তুলনায় আপনার এই থানায় জনবল কম রয়েছে বলে জাগো নিউজের কাছে তথ্য রয়েছে। আপনার কি মনে হয়, বর্তমান জনবল নিয়ে পুরো এলাকার মানুষের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : সব মিলিয়ে জনবল ৭০ জন। ৭০ জনের কাঁধের উপর ৫ লাখ মানুষের নিরাপত্তা ও আইনশৃ্ঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব। কাজটা একটু কঠিনই বটে। জনবল বেশি হলে কাজে সুবিধা হতো।
 
জাগো নিউজ : থানার ওসি’র দায়িত্ব অনেক। ব্যস্ততাও কম নয়। সব মিলিয়ে কাজের বাইরে নিজের পরিবারকে কিভাবে সময় দেন?
 
শেখ শাহিনুর রহমান : পরিবার আমার কাজ ও সেবার মানসিকতাকে মেনে নিয়েছে। আমি পরিবারের চাইতে এই পেশাকেই বেশি গুরুত্ব দেই। শুধু পেশা বললে ভুল হবে। বলতে পারেন সেবা দেয়ার নেশা। কাজের ব্যস্ততার কারণে পরিবারকে চাহিদা মতো সময় দেয়া সত্যিই কঠিন। আমার লক্ষ্য সততার সঙ্গে দায়িত্ব শেষ করা। পারিপার্শ্বিকতার কারণে নিজে সৎ থেকে দায়িত্ব পালন কঠিনই। তবে আমি প্রত্যয়ী। যতো দিন বাঁচি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই।
 
জাগো নিউজ : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শেখ শাহিনুর রহমান : আপনাকেও ধন্যবাদ।

জেইউ/এসকেডি/এসএইচএস

আরও পড়ুন