বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের পরামর্শ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নীতি এবং আদর্শ অনুসরণ করে দেশমাতৃকার ভক্তি নিয়ে মানুষের সেবায় সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক স্মরণসভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও শেখ কামালের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার দৃঢ়তা, সাহস ও অনুপ্রেরণার কারণেই বঙ্গবন্ধুর অর্জন সহজ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পরতে পরতে বঙ্গমাতার কর্মকাণ্ড এত সুন্দরভাবে চিত্রিত হয়েছে, যা আমাদের সবার জানা উচিত।
শেখ কামাল প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, অত্যন্ত বিনয়ী ও ভদ্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল তার মাত্র ২৬ বছরের জীবনে দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে আরও গভীরভাবে জানতে সবাইকে বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত বই অধ্যয়নের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিউক্লিয়াস ছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি যেভাবে একটি পরিবারকে গড়ে তুলেছেন তা কেবল বাংলাদেশ নয়, তৃতীয় বিশ্ব ও এর বাইরে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। যেভাবে তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন যোগ্য সহযোগী ও সহচর হয়ে উঠেছিলেন তা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা ছাড়া সম্ভব নয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ন্যাশনাল আর্কাইভ, বিটিভি, তথ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা, শেখ কামালসহ ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
স্মরণসভায় সাবেক রাষ্ট্রদূত সাহেদ রেজা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন। এছাড়া পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেপি/এফআর/এমকেএইচ