ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকার সচেষ্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২০

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, সরকার কৃষকের উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে। এজন্য বর্তমান সরকার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, পাট ক্রয়-বিক্রয় সহজিকরণের জন্য এসএমএসভিত্তিক পাট ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাকরণ, কাঁচাপাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, পাটজাত পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধিকরণে কাজ করছে। এছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাটচাষীদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাটশিল্পের সম্প্রসারণে সবধরনের সহায়তা করবে সরকার।

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে সোমবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দফতর/সংস্থাসমূহের কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সোমবার মন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, বহুমুখী পাটপণ্যের বর্তমান বাজার ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে পাটপণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পুনঃবিন্যাস করে বিজেএমসি’র বন্ধ ঘোষিত মিলসমূহ জরুরি ভিত্তিতে পুনঃচালু করতে কাজ করছে সরকার। অবসায়নের পরে দেশের পাটকলগুলো তথা মিলগুলোকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ জিটুজি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সাথে মিলগুলোকে উপযুক্ত ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও পুনঃচালু এবং বিজেএমসি’র জনবল কাঠামো পরিবর্তিত পরিস্হিতির আলোকে যৌক্তিকীকরণের বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের দুটি কমিটি ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের চাকুরী অবসান এবং পাটকলসমূহ বন্ধ ঘোষণার ক্ষেত্রে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট সকল বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ এবং তা পরিশোধের ক্ষেত্রেও যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের চাকুরী ১ জুলাই হতে অবসান করায় শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী ৬০ দিনের অর্থাৎ নোটিশ মেয়াদের মজুরি ব্যতীত ওই তারিখের পর তাদের আর কোনো দাবি বা পাওনা নেই। ইতোমধ্যে অর্থ বিভাগ হতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা নোটিশ মেয়াদের অর্ধেক অর্থাৎ ৩০দিনের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে।

এইচএস/এমএআর/এমএস