ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ঢামেকে যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি আহম্মদ আলীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৩:০৩ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সুনাইকান্দা গ্রামের আহম্মদ আলী (৭০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহম্মদ আলী মারা যান বলে জানান ঢামেকে কর্তব্যরত কারারক্ষী জাকারিয়া।

জাকারিয়া আরও জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন ভবনের ৭০১ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ১২টায় আহম্মদ আলী মারা যান।
 
গত মাসের ১০ তারিখে আহম্মদ আলীকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছিলো। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে ২১ সেপ্টেম্বর তাকে কারা হেফাজতে নেয়া হয়।

আহম্মদ আলীকে পূর্বধলা থানা পুলিশ চলতি বছরের ১২ আগস্ট ভোরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি পূর্বধলা উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের সুনাইকান্দা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। এসময় আরও গ্রেফতার করা হয় জারিয়া ইউনিয়নের বাড়হা গনকপাড়ার (দক্ষিণপাড়া) মৃত মৌলভী হোসেন আহম্মদ ওরফে হোসেন মৌলভীর ছেলে রাজাকার আব্দুর রহমানকে।

পূর্বধলা থানা পুলিশ জাগো নিউজকে জানান, পূর্বধলা উপজেলার বাড়হা গ্রামের মৃত আমছর উদ্দিন তালুকদারের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল কাদির বাদী হয়ে চার রাজাকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিলো, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আ. কাদির রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত এবং তার আরেক বড় ভাই আ. হেকিম ভারতে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে চলে যান।

এসময় রাজাকাররা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে তার বড় ভাই আ. খালেককে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে মুক্তিযোদ্ধা দুই ভাইয়ের খোঁজ খবর জানতে চান। তিনি তাদের ছোট দুই ভাই কোথায় আছেন জানেন না বললে রাজাকাররা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বাড়ি-ঘরে লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে খালেককে ধরে নিয়ে গিয়ে দুই দিন রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে অমানষিক নির্যাতনের পর জারিয়া কংশ নদীর পাড়ে গুলি করে হত্যা করেন।
 
এ ঘটনায় আ. কাদির বাদী হয়ে ২০১৩ সালে রাজাকার হাফেজ আ. গফুর, মাওলানা আব্দুল মজিত, খালেক তালুকদার ও আহম্মদ আলীকে আসামি করে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালে মামলা রুজ্জু করা হয়। মামলা নং ২৯ তারিখঃ-১১(২)১৪। এ মামলার প্রেক্ষিতে আহম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়।

কামাল হোসাইন/এমজেড/এমএস