ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু : পপুলারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:০৬ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২০

ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে রোগীর ভুল চিকিৎসা এবং অতিরিক্ত বিল আদায়ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (এফএমএইউ) মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে সভাপতি করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

অন্য দুই সদস্য হলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-২ এর উপসচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন (সদস্য সচিব) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপরিচালক (হাসপাতাল)।

গতকাল ২৭ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তদন্ত কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যম ও প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর মৃত্যু, অতিরিক্ত বিল আদায় এবং মৃতদেহ বাইরে রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছেন! এমতাবস্থায় বিষয়টি তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটিকে জরুরিভিত্তিতে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়।’

যে ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ১০ জুলাই ভর্তি হন ৮০ বছর বয়সী রওশন আলী সিকদার। প্রাথমিক পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, তিনি করোনা পজিটিভ। শুরু হয় চিকিৎসা। অবশেষে ভর্তির ১৫ দিনের মাথায় শুক্রবার মারা যান রওশন আলী। এরই মধ্যে দুই দফা আইসিইউ ও নানা পরীক্ষার বিল হিসাবে ধাপে ধাপে টাকা নেয় প্রায় পাঁচ লাখ। তবে মারা যাওয়ার পর জানানো হয় রোগীর করোনা হয়নি। স্বজনদের অভিযোগ, তাহলে এই ১৫ দিন ধরে কিসের চিকিৎসা করা হলো, আর পাঁচ লাখ টাকাই বা নেয়া হলো কেন?

স্বজনদের অভিযোগ, টাকা পাওয়ার পর মরদেহ হাসপাতালটির বাইরে ফেলে রাখা হয়। পরে পুলিশকে জানানো হলে মরদেহ নেয়া হয় হাসপাতাল মর্গে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনার সব উপসর্গ থাকলেও অনেক সময় পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। রওশন আলীর শরীরিক নানা জটিলতা থাকায় শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে পপুলার হাসপাতালের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের স্বজনরা।

এমইউ/এমএআর/এমকেএইচ