ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সুসম্পর্ক বজায় রেখেই রায়হানকে সাহায্য করবে সরকার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২০

মালয়েশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই সে দেশে আটক বাংলাদেশি যুবক রায়হান কবিরকে সরকার সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

সোমবার রেল মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ড. মোমেন বলেন, আমরা চাই না আমাদের কোনো প্রবাসী কোনো দেশে সমস্যায় পড়ুক।

তিনি বলেন, আমরা দেখবো আমাদের এই ইয়াংম্যানের (রায়হান কবিরের) কোনো অসুবিধা যেন না হয় এবং দুই দেশের সম্পর্কও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

এছাড়া বাংলাদেশে চীনের করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখনো এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কিছু জানায়নি।

উল্লেখ্য, মালেশিয়ায় লকডাউন চলাকালে অভিবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে আল-জাজিরার ‘১০১ ইস্ট প্রোগ্রাম’র একটি পর্বে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরই মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন রায়হান কবির।

গত ৩ জুন ‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়া’স লকডাউন’ পর্বটি প্রচারিত হয়। ওই পর্বে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রেড জোনে অভিযান চালানোর সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও সমালোচনা তুলে ধরা হয়।

পর্বটি প্রচারিত হওয়ার একদিন পরই রায়হানের অবস্থান সম্পর্কে কারও কোনো তথ্য জানা থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে জানাতে আহ্বান করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। পরে ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে রায়হানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে মালয়েশিয়া পুলিশ। রায়হান কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এখনও তার আইনজীবীদের সঙ্গে রায়হান কবিরকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে এর আগে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ অবশ্য বলেন, শুধু একজন বাংলাদেশির জন্য মালয়েশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের ‘কনফ্লিক্টে’ যাবে না বাংলাদেশ। এ বিষয়টি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ইস্যুগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভালোভাবে দেখভাল করতে পারে। তারাই দেখেন এসব বিষয়। তারা বিষয়টি সে দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারে। আগামী সপ্তাহে আমাদের একটি মিটিং হবে, আমি সেখানে প্রসঙ্গটি তুলবো। দেখা যাক কী করা যায়।

ইমরান আহমদ মনে করেন, যে দেশে যেমন আইন সে দেশে সেভাবে আচরণ থাকা উচিত। বাংলাদেশে যা করা যাবে বিদেশে তা নাও করা যেতে পারে।

জেপি/এসএইচএস/পিআর