মাস্ক ব্যবহার বাধ্যবাধতা থাকলেও এর প্রভাব নেই
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট অফিসে আগত সেবা গ্রহীতা এবং রাস্তা-ঘাট, বাজার, শপিংমল, যানবাহন ছাড়াও সব জায়গায় মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা করা হলেও এর প্রভাব পড়েনি রাজধানীর কোথাও। সবকিছু চলছে আগের মতোই। বরং স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ছে বেশিরভাগ মানুষ।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা, শপিংমলে দেদারসে মাস্ক ছাড়া ঘুরছে অনেকে। অধিকাংশ রিকশাচালক থেকে শুরু করে শপিংমলের বিক্রেতারাও মাস্ক না পরেই কাজ করছেন। কারো কারো মাস্ক থুতনিতে আটকানো। কেউ আবার নাকের নিচে মাস্ক নামিয়ে রেখে ঘোরাফেরা করছেন।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে পরিপত্র জারি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু শুরু স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে এটি বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক না পরেই ঘোরাফেরা করছেন।
পরিপত্রে বলা হয়, শপিংমল, বিপণিবিতান ও দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতারা আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও মার্কেট ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
কিন্তু বুধবার (২২ জুলাই) রাজধানীর, মালিবাগ টুইন টাওয়ার, মধ্য বাড্ডার হল্যান্ড সেন্টার, উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু শপিংমল, হাতিরপুলের ইস্টার্ন প্লাজা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের বেশিরভাগের থাকলেও বিক্রেতাদের কারোর মুখেই মাস্ক নেই। মাস্কের কথা তুলতেই তারা গরমের অজুহাত দেন। মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে টুইন টাওয়ারের এক দোকানি বলেন, গরমের কারণে মাস্ক খুলে রেখেছি।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক পরা ছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতারা কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করবেন না। স্থানীয় প্রশাসন ও হাট-বাজার কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। কিন্তু এটাও কেউ মানছেন না। রাজধানীর বিভিন্ন হাটবাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা মাস্ক ছাড়াই যাচ্ছেন।
উত্তর বাড্ডার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আসা অধিকাংশের মুখেই মাস্ক ছিল না। সেখানকার এক ক্রেতা মাস্ক পরার নির্দেশের কথা জানেন না বলে দাবি করেন।
হকার, রিকশা ও ভ্যানচালকসহ সব পথচারীর মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে পরিপত্রে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করবেন। কিন্তু এদের মধ্যে এই নিয়ম ভাঙার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।
নগরীর ফুটপাতে বসা অধিকাংশ হকারের মুখে মাস্ক ছিল না। রিকশাওয়ালাদেরও একই অবস্থা। বেশিরভাগ রিকশাওয়ালা কাপড়ের মাস্ক কাছে রাখলেও তা ছিল থুতনিতে আটকানো। আর মুখ ও নাক খোলা।
এইচএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ