ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মোশাররফ-সহিদুলকে চুক্তিতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ২২ জুলাই ২০২০

সাবেক সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং বিমসটেক মহাসচিব মো. সহিদুল ইসলামকে চুক্তিতে দুই বছরের জন্য রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য এ নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে বুধবার (২২ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।

আর বিমসটেক মহাসচিব পদে চুক্তিতে নিয়োজিত পররাষ্ট্র ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুলের অভোগকৃত অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিতের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য রাষ্ট্রদূত হিসেবে চু্ক্তিতে নিয়োগ দিয়ে আলাদা আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার চাকরিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন তাদের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদায়ন করবে।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের শর্তাবলি অনুমোদিত চুক্তিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৮১ সালের ৩০ জানুয়ারি অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগে সহকারী কন্ট্রোলার মিলিটারি অ্যাকাউন্টস পদে যোগদানের মাধ্যমে চাকরি জীবন শুরু করেন। সর্বশেষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

এর আগে তিনি ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল সিনিয়র সচিব হন।

মোশাররফ হোসেন ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের (তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়) সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১০ সালের ২৯ জুলাই তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার হয়েছিলেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার প্রধান আসামি সেতু বিভাগের সাবেক এই সচিব। কারণ ওই সময় সেতু সচিবের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

অভিযোগ ওঠার পর মোশাররফ ভূঁইয়াকে সেতু বিভাগের সচিবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তাকে বসানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানের পদে। এরপর বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনে মোশাররফ হোসেনকে ছুটিতেও পাঠানো হয়েছিল। ছুটিতে থাকা অবস্থায় অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানের পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়। এ সময় তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। গ্রেফতার হওয়ায় ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি।

যদিও পরে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার দুর্নীতি প্রমাণিত হয়নি। এজন্য তাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হয়। এর আগেই বিশ্ব ব্যাংকও পদ্মা সেতুর প্রকল্প থেকে সরে যায়।

আরএমএম/এএইচ/এমকেএইচ