মৃদু উপসর্গে হাসপাতালের শয্যা খালি
করোনা হাসপাতালে কম রোগী ভর্তি এবং শয্যা খালি থাকার কারণ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অধিদফতরের বক্তব্য, তাদের টেলিমেডিসিন সেবাটি অনেক বেশি কার্যকর। ৭০ জন চিকিৎসক প্রতিদিন এই টেলিমেডিসিন সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক মানুষকে তারা টেলিফোনের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তাছাড়া করোনায় শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের লক্ষণ ও উপসর্গ মৃদু থাকে, যারা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। ১৫ শতাংশ মানুষের মাঝারি ধরনের উপসর্গ হয়। ৫ শতাংশ বা তার কম মানুষের জটিল উপসর্গ/লক্ষণ হয়, তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। যেহেতু মৃদু উপসর্গের লোক বেশি, সেজন্যই হয়তো হাসপাতালের শয্যাগুলো খালি আছে এবং তারা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। অধিদফতরের শক্তিশালী যে টেলিমেডিসিন সেবা, সেটা অব্যাহত আছে।
শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে বিষয়টি জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা।
হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও শয্যা খালির তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা মহানগরীতে সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৩২ জন এবং শয্যা খালি আছে ৪ হাজার ২৯৩টি। এ মহানগরীতে আইসিইউ শয্যায় রোগী আছে ১০৩ জন এবং খালি ৩৯টি।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি আছে ৩১২ জন এবং খালি আছে ৩৫০টি। এ মহানগরীতে আইসিইউতে ভর্তি আছে ২০ জন এবং খালি আছে ১৯টি।
সারাদেশের অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় ১ হাজার ৮৪৩ জন এবং খালি আছে ৫ হাজার ৮৯০টি। সারাদেশের অন্যান্য হাসপাতালে আইসিইউ শয্যায় ভর্তি ৯৬ জন এবং খালি আছে ১০৫টি।
সারাদেশে সাধারণ শয্যা ১৪ হাজার ৭২০টি, ভর্তি আছে ৪ হাজার ১৮৭ জন এবং খালি আছে ১০ হাজার ৫৩৩টি। আইসিইউ শয্যা সারাদেশে ৩৭৯টি, ভর্তি আছে ২১৬ জন এবং খালি আছে ১৬৩টি।
পিডি/জেডএ/এমকেএইচ