ঈদের আগে পরিবহন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি
ঈদের কমপক্ষে সাত দিন আগেই চালক-শ্রমিকদের বেতন, পূর্ণ উৎসব ভাতা এবং করোনায় কর্মহীন চালকদের প্রতিশ্রুত নগদ সহায়তা দেয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাইভেটকার-মাইক্রো চালকসহ হালকা যানবাহন চালকদের শ্রম আইনের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যে কারণে তারা বছরের পর বছর চাকরি করার পরেও চাকরির নিরাপত্তা নেই, পদোন্নতি নেই, বার্ধক্যের অবলম্বন নেই। করোনা দুর্যোগে রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্বহীন ভূমিকার কারণে মালিকরা আরও নির্মমভাবে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সুষম খাদ্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তায় যখন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সময় চালক-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর পরিবর্তে উল্টা বেতন কর্তন করা হচ্ছে, বিনা বেতনে ছুটি দেয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ বা নোটিশ ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে ছাঁটাই করা হচ্ছে। এই দুর্যোগের সময়ে এসেও বেতন-ভাতার জন্য আমাদের রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। ফলে যাত্রীর সংকট থাকায় ট্রিপ চুক্তিতে কর্মরত পরিবহন শ্রমিকরা মালিকের জমা, জ্বালানি খরচ, রাস্তা খরচ মিটিয়ে নিজেদের জন্য কিছুই থাকছে না। সিএনজি চালকরা নিজের বেতন উপার্জনতো দূরের কথা মালিকের দৈনিক জমা তুলতেই পারছেন না। তারপর আছে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানিমূলক নো-পার্কিং মামলা। এ অবস্থায় ট্রিপ চুক্তির পরিবর্তে পরিবহন চালক-শ্রমিকদের মাসিক বেতন চুক্তিতে নিয়োগের দাবি জানাই।
সংগঠনটির সহ-সভাপতি বিরেশ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুলের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সহ-সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, দফতর সম্পাদক রুবেল মিয়া, প্রচার সম্পাদক শাহিন আলম প্রমুখ।
এএস/এমএফ/জেআইএম