ক্ষতি পোষাতে ছুটির দিনেও রাজধানীর অনেক মার্কেট খোলা
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশে টানা দুই মাসের সাধারণ ছুটিতে রাজধানীর শপিংমল থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট ও বিপণি-বিতান সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। গত ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে সব ধরনের মার্কেট খুলে দেয়া হয়।
এরপর মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও মার্কেটে বেচাকেনা স্বাভাবিক হয়নি। কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা না হওয়ায় ব্যয় কমাতে বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিকদের কেউ কর্মচারীর বেতন কমিয়ে দিয়েছেন, কেউ আবার কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে নিজেই দোকানে সময় দিচ্ছেন।
দোকানিরা বলছেন, এবার তাদের কপাল পুড়েছে। করোনার কারণে রোজার ঈদেও তেমন বেচাকেনা ছিল না। আর সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষেও মার্কেটে তেমন ক্রেতা নেই। বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিকরা ক্রেতাদের পণ্য কেনায় আকৃষ্ট করতে শাড়ি, জামা, জুতা ও কসমেটিকসসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর কমিশন দিচ্ছেন। বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ২০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ে পণ্য বিক্রির ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়।
আগে মঙ্গলবারে রাজধানীর নিউ মার্কেট ও ধানমন্ডি এলাকার শপিংমলসহ বিভিন্ন ছোট-বড় মার্কেট বন্ধ থাকতো। কিন্তু এখন মঙ্গলবারেও মার্কেট বন্ধ থাকছে না। করোনার কারণে দীর্ঘদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়। এ ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে বন্ধের দিনও মার্কেট খোলা রাখা হচ্ছে।
বিকেলে নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা, চাঁদনী চক, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকার কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, দোকানিরা দোকান খুলে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন। সকাল থেকে ক্রেতা না থাকলেও বিকেল ৩টার পর মার্কেটে মোটামুটি ক্রেতার সংখ্যা ভালোই বলে জানান তারা।
গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, করোনা আমাদেরকে শেষ করে দিয়েছে। প্রতি বছর দুই ঈদেই (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা) তাদের বেচাকেনা ও বেশ ভালো লাভ হয়। কিন্তু এবার লাভ তো দূরের কথা দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করাই দায় হয়ে পড়েছে।
নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সাজ্জাদ আলম বলেন, গত জুন মাসজুড়েই বেচাকেনা ছিল না। এ মাসের শুরু থেকে বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে। তবে এ রকম বেচাকেনা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে।
এমইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ