ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সাহেদের ব্যাংক হিসাব ও রিজেন্ট হাসপাতাল সংক্রান্ত নথি দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২০

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে রিজেন্ট হাসপাতাল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিও তলব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর এই দু’টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের দুর্নীতির অনুসন্ধানের তথ্য চেয়ে দুই সংস্থাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

ক্ষুদ্র ঋণ ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে সাহেদের বিরুদ্ধে। এছাড়া আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ নেয়ার অভিযোগও পেয়েছে দুদক।

এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে যাচাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম নিয়োগ দিয়েছে কমিশন।

দুদক সূত্র বলেছে, রিজেন্ট হাসপাতাল সংক্রান্ত নথির জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সাহেদের ব্যাংকিং লেনেদেন সংক্রান্ত নথির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (১৩ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে। যার জন্য তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।

কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

দুদক সূত্র জানায়, ক্ষুদ্র ঋণ ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া নাম-পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ, আয়কর ফাঁকির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, সার্টিফিকেট দেয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দু’টি হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। অভিযানে গিয়ে প্রতারণার সত্যতা মেলে, সেইসঙ্গে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য।

পরদিন গত ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে এর দু’টি হাসপাতাল সিলগালা করে দেয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে। অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করেছে র‌্যাব। তবে চেয়ারম্যান সাহেদ এখনও ধরা পড়েনি।

এছাড়াও জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

এফএইচ/এমএফ/পিআর