ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পুলিশে করোনায় আক্রান্ত আরও ১৯৮, মোট ১২৭৮০

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩২ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৮ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৮০ জনে। যা গতকাল রোববার ছিল ১২ হাজার ৫৮২ জন। একক পেশা হিসেবেও পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।

পুলিশ বলছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সরকারি নির্দেশে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব ও জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি চিরাচরিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজও করতে হচ্ছে পুলিশকে। যে কারণে দ্রুতই সংক্রমিত হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশে মোট আক্রান্তের মধ্যে ডিএমপিতেই ২ হাজার ৪৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১০ জন।

আক্রান্ত ১২ হাজার ৭৮০ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ১৯০ জন পুলিশ সদস্য।

আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় ১৩ হাজার ৮০৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গতকাল কোয়ারেন্টাইন সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৪০৬ জন। নতুন ১৩৬ জনসহ আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৫ হাজার ২ জনকে।

সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যদের অনেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত রাখতে সুস্থ হয়ে আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন। পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর উন্নত ও মানসম্মত ‘চিকিৎসা ও সেবায়’ সুস্থতার হার দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ৫০ জন সদস্য চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।

করোনা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মো. মিজানুর রহমান (৪৭)।

তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোর ৩টা ৪১ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। গত ২৩ জুন করোনা আক্রান্তের পর গত ২৮ জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত পুলিশদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে।

জেইউ/এমএফ/এমএস