ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা কমার ব্যাখ্যা দিল স্বাস্থ্য অধিদফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০

সাম্প্রতিক সময়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলে স্বীকার করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। কেন কমেছে, সেটারও ব্যাখ্যা দিয়েছে তারা।

আজ সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এর ব্যাখ্যা দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আমরা তথ্য বিশ্লেষণে দেখছি, আমাদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এর কারণ হিসেবে অনেকগুলো ব্যাখ্যা দেয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, একজনের দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করার দরকার হচ্ছে না। সুস্থতা ঘোষণার জন্যও দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করার দরকার হচ্ছে না। এ জন্য পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তাছাড়া মন্ত্রণালয় পরীক্ষা করার জন্য একটি ফি নির্ধারণ করেছে। সে কারণেও কিছুটা কমতে পারে। তাছাড়া মানুষের মধ্যে আতঙ্ক অনেকটাই কমে গেছে। মানুষ অনেকটা রিলাকটেনড (স্বস্তিতে) বলা যায়। তারা রিলাকটেনড হয়েছে এবং পরীক্ষা করার বিষয়ে আগ্রহ কম দেখাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যেসব বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, সেখানে আগে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় নির্দিষ্ট এবং ৩টার পরও অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেন নমুনা দেয়ার জন্য। এখন দুপুর ১টার পরই বুথগুলো শূন্য হয়ে যায়। নমুনা পরীক্ষার জন্য কেউ আসে না। নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে মানুষের আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে। সে কারণে পরীক্ষাগারে নমুনা আসছে না এবং নমুনা সংগ্রহ কমে গেছে।’

যাদের নমুনা পরীক্ষা করা দরকার অবশ্যই তাদের বুথে যাওয়া, নমুনা দেয়া এবং পরীক্ষারও আহ্বান জানিয়েছেন নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘দরিদ্রদের জন্য এখনও নমুনা পরীক্ষা ফ্রি। যে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নমুনার জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে উল্লেখ আছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নমুনা সংগ্রহ ফ্রি। কাজেই আপনারা সরকারের এই সুবিধা অবশ্যই গ্রহণ করতে পারেন। যাদের দরকার অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করাবেন।’

করোনা প্রতিরোধের জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই সঠিকভাবে সবাই মাস্ক ব্যবহার করবেন, বারবার সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুবেন, সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখবেন এবং জনসমাবেশ এড়িয়ে চলবেন।’

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৩৯১ জনে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৯৯ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জনে।

করোনাভাইরাস বিষয়ে সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

পিডি/এমএফ/পিআর