বিজিবিতে যুক্ত হলো অল টেরেইন ভেহিক্যাল
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) যুক্ত হলো অল টেরেইন ভেহিক্যাল (এটিভি)। আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন, প্রতিবেশি দেশ থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরক, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ও চোরাচালানরোধ এবং মানবপাচার প্রতিরোধে দ্রুত ও কার্যকরভাবে টহল পরিচালনার জন্য বিজিবিতে যুক্ত হলো এটি।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে ৪ হাজার ৪শ ২৭ কি.মি. সীমান্তের ৩২৮ কিলোমিটার এলাকা বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সকল বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, নজরদারি এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ মোকাবিলায় এলাকাগুলোতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ‘স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভেইল্যান্স এন্ড ট্যাকটিকাল বর্ডার রেসপন্স সিস্টেম’ স্থাপন ও সম্প্রসারণের জন্য বিজিবি কর্তৃক উদ্যোগ নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে যশোর জেলার পুটখালী এবং কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তের ২৩ কিলোমিটার এলাকায় সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া, টেকনাফ সীমান্তের দমদমিয়া থেকে উনচিপ্রাং, উনচিপ্রাং থেকে পালংখালী, পালংখালী থেকে বাইশফাঁড়ি পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার, নওগাঁ জেলার হাপানিয়া সীমান্তে ১৫ কিলোমিটার, দিনাজপুর জেলার হিলি থেকে কয়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মাসুদপুর থেকে কয়া সীমান্ত পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ সর্বমোট ৯০ কিলোমিটার এলাকায় সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কর্মকাণ্ডকে আরও সুসংগঠিত ও সময়োপযোগী করার নিমিত্তে বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত ‘স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড ট্যাকটিকাল বর্ডার রেসপন্স সিস্টেম’ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে দ্রুত রেসপন্স প্রদানের জন্য দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থলে বিজিবি সদস্যদের প্রেরণ এবং দূর্গম ও অপ্রচলিত সড়কসমূহে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিজিবিতে অল টেরেইন ভেহিক্যাল (ATV) সংযোজন করা হয়েছে।
অল টেরেইন ভেহিক্যালগুলো (ATV) কর্দমাক্ত সরু রাস্তা, বালুময় চরাঞ্চল, খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয়, পাহাড়ি খাড়া রাস্তা এবং যেকোনো দূর্গম রাস্তায় চলাচলের জন্য খুবই উপযুক্ত।
এছাড়াও ওজনে হালকা হওয়ার কারণে বিশেষ আভিযানিক অপারেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে এই যানগুলো হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নির্ধারিত স্থানে হেলিড্রপ করা সম্ভব। বিজিবির এই সক্ষমতা আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে (অস্ত্র, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধ ইত্যাদি) সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা হ্রাসেও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করা হয়।
জেইউ/এনএফ/এমকেএইচ