করোনা চিকিৎসায় প্রতারণা : রিজেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে
করোনা রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করায় রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে এই মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, করোনা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও ভুয়া করোনার রিপোর্ট দেয়ায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজই মামলা করা হবে।
মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদসহ জড়িতদের গ্রেফতারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান সারওয়ার বিন কাশেম।
এদিকে রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয়সহ উত্তরা ও মিরপুরের দুটি হাসপাতাল সিলগালা করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করত রিজেন্ট হাসপাতাল। এছাড়াও সরকার থেকে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টেস্ট করার অনুমতি নিয়ে রিপোর্টপ্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকার করে আদায় করত তারা। এভাবে জনগণের সাথে প্রতারণা করে মোট তিন কোটি টাকার হাতিয়েছে রিজেন্ট। এই সমস্ত অপরাধ ও টাকার নিয়ন্ত্রণ চেয়ারম্যান সাহেব (রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ) নিজে করতেন অফিসে বসে।’
সারোয়ার আলম বলেন, ‘রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় থেকেই এই অপকর্মগুলো হতো বিধায় এটি সিলগালা করা হয়েছে। পাশাপাশি রোগীদের স্থানান্তর করে হাসপাতাল দুটিও সিলগালা করা হয়েছে।’
এর আগে সোমবার রাতেই মো. মোহাম্মদ সাহেদের মালিকানাধীন হাসপাতাল থেকে অননুমোদিত র্যাপিড টেস্টিং কিট ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সারোয়ার আলম বলেন, ওই গাড়িতে ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদফরের স্টিকার লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনের চোখে ধুলো দিতেই ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদফরের স্টিকার ব্যবহার করা হতো।
এর আগে সোমবার (৬ জুলাই) বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এতে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে রিজেন্টের ৮ জন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।
জেইউ/বিএ/পিআর