এক মাসে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি
দেশে গত এক মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি। দেশে গত ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। গত ৩ জুন পর্যন্ত সারাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৪৬ জন। এক মাসের ব্যবধানে গতকাল ৩ জুলাই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৬৮ জন। শতাংশের হিসাবে যা ২ দশমিক ৬ গুণেরও বেশি। গত ৩ জুন পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল রাজধানী ঢাকায়। কিন্তু বর্তমানে সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৬৮ জন বলা হলেও সারাদেশে প্রতিদিনই করোনার উপসর্গ নিয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ৩ জুন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী ৭৪৬ জনের মধ্যে রাজধানীতে ২৪১ জন, ঢাকা বিভাগে ২১২ জন, ময়মনসিংহে ১৬ জন, চট্টগ্রামে ১৯৭ জন, রাজশাহীতে ৯ জন, রংপুরে ২১ জন, খুলনায় ১১ জন, বরিশালে ১৫ জন ও সিলেটে ২৪ জন।
একমাস পর গতকাল ৩ জুলাই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৬৮ জনে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৪৭০ জন, ঢাকা বিভাগে ৫২৪ জন, ময়মনসিংহে ৪৯ জন, চট্টগ্রামে ৫৪৩ জন, রাজশাহীতে ৯১ জন, রংপুরে ৫৫ জন, খুলনায় ৮৩ জন, বরিশালে ৭১ জন ও সিলেটে ৮১ জন।
গত মাস পর্যন্ত মৃতের তালিকার অধিকাংশ রোগী রাজধানী ঢাকা, ঢাকা বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে থাকলেও পরবর্তীতে অন্যান্য বিভাগেও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। গত এক মাসের ব্যবধানে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ১০ গুণ খুলনায় ৭ গুণেরও বেশি মৃত্যু বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিভাগেও মৃত্যু ৩ থেকে ৪ গুণ বেড়েছে। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৫০ বছরের অধিক বয়স্করাই বেশি।
নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা.নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ও মৃত্যু ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।
তবে তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানালেও অনেকেই তা মানছেন না। আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠলেও যারা বয়স্ক ও নানা অসংক্রামক রোগে ভুগছেন তারা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গেলে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। অনেক সময় প্রয়োজনীয় আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন না পেয়ে বা সাপোর্ট পাওয়ার পরও অপেক্ষাকৃত বয়স্করা মৃত্যুবরণ করছেন বলে জানা যায়।
এমইউ/এমএফ/পিআর