একদিনে আরও ৩৬৮২ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এবং এতে মৃত্যু বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ৬৮২ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৬৪ জন। ফলে এ ভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৮৪৭ জনের।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন পড়েন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি ৬৬টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ হাজার ৮৬৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো সাত লাখ ৬৬ হাজার ৪৬০টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৬৮২ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৬৪ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৮৪৭ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৪৪ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৯ হাজার ৬২৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৫২ জন এবং নারী ১২ জন। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের সাতজন, ত্রিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২১ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৬ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১১ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী তিনজন রয়েছেন। ৩১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, সাতজন রাজশাহী বিভাগের, সাতজন খুলনা বিভাগের এবং দুজন করে সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫১ জন হাসপাতালে এবং ১৩ জন বাসায় মারা যান।
গতকালের পরিস্থিতি
গত সোমবারের (২৯ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ১৭ হাজার ৮৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও চার হাজার ১৪ জনের শরীরে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও মৃত্যু বেড়ে হয়েছে সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩ জনের মৃত্যুর রেকর্ড ছিল। সে তথ্য জানানো হয় গত ১৬ জুনের বুলেটিনে।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
মঙ্গলবারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৪৪৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৬ হাজার ৫৮৭ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৪৪ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৪০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৫ হাজার ১৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৫৪২ জনকে, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ৬৩ হাজার ৮৬৬ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৮৩৪ জন, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৯৯ হাজার ১৯৯ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৪ হাজার ৬৬৭ জন।
ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ তুলে ধরেন। বিশেষ করে করোনার এই দুঃসময়ে গর্ভবতী মায়েদের করণীয় তুলে ধরা হয় বুলেটিনে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ আট হাজারের বেশি। তবে পৌনে ৫৭ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
এমইউ/এইচএ/জেআইএম
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা, প্রজ্ঞাপন জারি
- ২ নিজের ‘দুর্নীতির অভিযোগ’ নিয়ে যা বললেন দুদকের নতুন চেয়ারম্যান
- ৩ বিআরটিএ পরিচালকের সঙ্গে ট্রান্সপোর্ট রিপোর্টার্স সদস্যদের সাক্ষাৎ
- ৪ উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে অফিস-ল্যাপটপ
- ৫ অপরিকল্পিত উন্নয়ন খাদ্য জোগানে সবচেয়ে বড় বাধা: উপদেষ্টা ফরিদা