বন্যা পরিস্থিতি : ৬ জেলায় অবনতি, ৫ জেলায় উন্নতির সম্ভাবনা
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারত ও বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলো ছাড়া সকল প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। যা আগামী ৩ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৬ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং ৫ জেলায় উন্নতি হতে পারে।
বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে যেসব জেলায়- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে। উন্নতি হতে পারে যেসব জেলায়- লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিলেট, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জে।
সোমবার (২৯ জুন) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তারা বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদী গোয়ালন্দ পয়েন্টে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় যমুনা নদী আরিচা ও পদ্মা নদী ভাগ্যকুল পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বিপরীতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমতে পারে। তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে এবং ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে অবস্থান করতে পারে।
এ দিকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০১টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি স্টেশনের মধ্যে ৭২টির পানি বাড়ছে, ২৮টির কমছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে একটির। আর বিপদসীমার উপর দিয়ে ১৪টি স্টেশনে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৬ মিলিমিটার উপর দিয়ে, তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার, ঘাগটের গাইবান্ধা পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ৭৭ সেন্টিমিটার, যমুনার ফুলছড়ি পয়েন্টে ৭৮ সেন্টিমিটার, যমুনার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার, যমুনার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার, যমুনার কাজিপুর পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার, যমুনার সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, পুরাতন সুরমার দিরাই পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার এবং সোমেশ্বরীর কলমাকান্দা পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও দেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে। রোববার (২৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে দেশের শেরপুর-সিলেটে ১০২, নোয়াখালীতে ৫৭, কানাইঘাটে ৭০, ভাগ্যকুলে ৫৬, লালাখালে ৫৫, দুর্গাপুরে ৬৯ এবং কুমিল্লায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে, এই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৭৮ ও দার্জিলিংয়ে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পিডি/এফআর/জেআইএম