র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের অনুমোদন দেয়নি ওষুধ প্রশাসন
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় র্যাপিড অ্যান্টিবডি কিটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
রোববার (২৮ জুন) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ মর্মে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে যে, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে, যা সঠিক নয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ জুন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট বা র্যাপিড ও ল্যাবরেটরি এলিজা মেথডের এনওসি ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশন রেজিস্ট্রেশন প্রদানের নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, যা জনসাধারণের অবগতির জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
ওই নীতিমালা মোতাবেক, সার্স কভ-২ অ্যান্টিবডি আইজিজি আইজিএম, আইজিজ র্যাপিড এবং এলিজা ল্যাব বেইজড টেস্ট কিটসমূহ কোভিড-১৯ এর ডায়াগনসিসের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
কিটগুলোর মোড়কের গায়ে লিখতে হবে– দিজ ইজ নট এ ডায়াগনস্টিক কিট (এটা ডায়াগনস্টিক কিট নয়), দিজ কিট উইল বি ইউজড অনলি ফর ডিটেক্টিং অ্যান্টিবডি (এই কিট অ্যান্টিবডি শনাক্তে ব্যবহার হবে), নট ইন একিউট স্টেজ। নীতিমালায় র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের জন্য কম্বাইন্ড আইজিজি আইজিএমের ন্যূনতম সেনসিটিভিটি ৯০ শতাংশ এবং স্পেসিফিসিটি ৯৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এলিজা মেথডের ক্ষেত্রে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের মতোই সেনসিটিভিটি ও স্পেসিফিসিটি নির্ধারিত হবে।
নীতিমালা মোতাবেক অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট বা র্যাপিড ও ল্যাবরেটরি এলিজা পদ্ধতিসমূহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়/স্বাস্থ্য অধিদফতর নীতিগতভাবে সেরো সার্ভিল্যান্স এবং কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপিতে ব্যবহারের সিদ্ধান্তের পরই ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে রেজিস্ট্রেশন/এনওসি প্রদান করা হবে।
এমইউ/এফআর/এমএস