হাত বাড়াতে পারছে না, ধুঁকছে বাউলরা
সহজিয়া ধারায় জীবনযাপন করে বাউলরা। সমাজ, রাজনীতির জটিল ধারা তারা মাড়ায় না। গান করে জীবন বাঁচায়, সংসার চালায়। গান বন্ধ। আয়ের পথও বন্ধ। অথচ হাত বাড়াতেও পারছে না। যেন ধুঁকে ধুঁকে মরছেন বাউলরা।
বলছিলেন বিশিষ্ট বাউল ও লালনশিল্পী শফি মণ্ডল। করোনার প্রভাব এবং বাউলদের দুঃখবোধ নিয়ে জাগো নিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
শফি মণ্ডল বলেন, মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে আনন্দ দিয়ে বাউলরা জীবন ধারণ করে। অনেকে এটিকেই পেশা হিসেবে নেন। বেঁচে থাকার পাথেয় তার এই সঙ্গীত সাধনাই। বিশেষ করে পালাগানের সঙ্গে জড়িত, মঞ্চের গানের সঙ্গে জড়িতরা গানকে পুঁজি করেই জীবন চালায়। এদের সঙ্গে সহশিল্পী, যন্ত্রবাদক থাকেন। বহু মানুষ এ পেশায় জড়িত। আবার অনেকে নামে পরিচিত নন অথবা সরকার বা শিল্পকলার তালিকাভুক্তও নন তারাও গান-বাজনায় ভর করে চলেন। অন্য কাজ তারা জানেন না বললেই চলে। বিপদটা তাদের জন্যই বড় হয়ে এসেছে। কারণ তারা না পারছে কারও কাছে হাত পাততে, না পারছে অন্য কাজ করতে। আর গানের আয়োজন একেবারে নিষিদ্ধই করোনা মহামারির শুরু থেকে।’
এ বাউল সাধক বলেন, ‘আমরা অনেকেই নামে পরিচিত। সরকারের অনুদান বা প্রণোদনা নামি-পরিচিত শিল্পীরা হয়তো পাবেন। সরকার সাধ্যমত চেষ্টাও করছে৷ কিন্তু যারা তৃণমূলের, যারা তালিকাভুক্ত নন, তাদের কী হবে! আর এদের সংখ্যাই বেশি।’
তিনি বলেন, ‘একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন এই মহামারির শেষ কোথায়। কিন্তু বেঁচে থাকতে নিরন্তর চেষ্টা চলছে সর্বত্রই। এ চেষ্টায় সবাই যুক্ত হতে পারলেই মুক্তি। করোনা এক সময় হয়ত থাকবে না। মানুষ থাকবে৷ মানুষের মানবিকতা থাকবে। এই মানবিকতার হাত তৃণমূল বাউলদের জন্যও বাড়িয়ে দেয়া হোক। বিপদকালে বেঁচে থাকুক বাউলরাও।
এএসএস/এএইচ/পিআর
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ তথ্য স্থানান্তরের কারণে ধীরগতি, দ্রুতই সমাধান
- ২ সাবেক অতিরিক্ত সচিবের গাড়ি থেকে চুরি হওয়া ১০ লাখ টাকা উদ্ধার
- ৩ বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা, প্রজ্ঞাপন জারি
- ৪ নিজের ‘দুর্নীতির অভিযোগ’ নিয়ে যা বললেন দুদকের নতুন চেয়ারম্যান
- ৫ বিআরটিএ পরিচালকের সঙ্গে ট্রান্সপোর্ট রিপোর্টার্স সদস্যদের সাক্ষাৎ