চট্টগ্রামে বিজিএমইএ হাসপাতালে চালু হচ্ছে করোনা চিকিৎসা
চট্টগ্রাম নগরের সল্টগোলা এলাকার বিজিএমইএ হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিজিএমইএ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা সংকট মোকাবিলায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিজিএমইএ শুরু থেকে এগিয়ে এসেছে। এর ধারাবাহিকতায় শ্রমিক অধ্যুষিত চট্টগ্রাম বন্দর, সিইপিজেড ও কাটগর-হালিশহর এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে সল্টগোলা এলাকায় অবস্থিত বিজিএমইএ হাসপাতালকে কোভিড-১৯ (করোনা) আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর করেছে।
বিজিএমইএ’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের আগ্রহে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের তত্ত্বাবধানে বিজিএমইএ চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মণ্ডলীর সার্বিক সহযোগিতায় এই ফিল্ড হাসপাতাল চালুর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক এনামুল আজিজ চৌধুরী।
ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিজিএমইএ হাসপাতালকে ৫০ শয্যার কোভিড-১৯ (করোনা) আইসোলেশন ও ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তরের প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়।
বেজমেন্ট ও ৩ তলা বিশিষ্ট সাড়ে ১৬ হাজার বর্গফুটের এই ফিল্ড হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ৫ জন ডাক্তার, ৭ জন নার্স, ২ ল্যাব টেকনিশয়ানসহ মোট ২৩ জন নতুন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই ফিল্ড হাসপাতাল শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে।
এখানে গার্মেন্টস পরিবারের শ্রমিক কর্মচারী ছাড়াও নিকটবর্তী এলাকার করোনা আক্রান্ত হতদরিদ্র জনসাধারণকেও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। এছাড়া বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ফিল্ড হাসপাতালে করোনা স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের বিষয়টিও বিজিএমইএ’র পরিকল্পনাধীন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিএমইএ’র নিজস্ব অর্থায়নসহ পোশাক শিল্পের মালিক ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদানে এ আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতালটি পরিচালিত হবে।
বিজিএমইএ’র নেতারা আশা করেন, বৈশ্বিক মহামারি গোটা বিশ্বকে যে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েছে তা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকারের সহায়ক অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিজিএমইএ তার নৈতিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সীমিত সম্পদের এ দেশে চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা মানুষের মাঝে ভীতি সঞ্চার করেছে। জাতীয় এ দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত উদ্যোগের পাশাপাশি বিজিএমইএ’র এ উদ্যোগ সকলের সহযোগিতা এবং সচেতনতায় সহায়ক হিসাবে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এফআর/এমকেএইচ