চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯১টি নমুনা পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক ২৮০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ হাজার ৯৭৭ জনে।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) চট্টগ্রামের পাঁচটি এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাবে সর্বমোট ৯৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ২৮০ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এর আগে গত ২০ মে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিলো।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামে সর্বমোট ৯৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরও ২৮০ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ১৫৫ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ১২৫ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) শনাক্ত হয়েছে। সেখানে ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৪ জনের দেহে করোনা পজিটিভ মিলেছে। যাদের মধ্যে ৩৩ জন নগরের ও ৪১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা রোগী পাওয়া যায় ৬৫ জন। যাদের মধ্যে ৫৯ জনই নগরের এবং বাকি ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার। ১৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪ জনের দেহে করোনভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে। যাদের মধ্যে ৩১ জন নগরের ও ৩৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে ৫৯ জনের শরীরে। যাদের ১৯ জন নগরের ও ৪০ জন বিভিন্ন উপজেলার। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। যাদের সবাই ওই জেলার উপজেলার বাসিন্দা।
অন্যদিকে এদিন চট্টগ্রামের বেসরকারি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের লাবে ৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ১৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ১৩ জনই নগরের, বাকি ২ জন উপজেলার রোগী।
উপজেলা পর্যায়ে নতুন করোনা শনাক্ত ১২৫ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিরসরাই উপজেলায়। সেখানে ২৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এছাড়া ফটিকছড়িতে ১৯ জন, হাটহাজারীতে ১৬ জন, সাতকানিয়ায় ১৩ জন, বোয়ালখালী ও সীতাকুণ্ডে ১২ জন করে, রাউজানে ৯ জন, লোহাগাড়ার ৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৭ জন, আনোয়ারায় ২ জন ও চন্দনাইশে ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আবু আজাদ/এমএফ/জেআইএম