ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মিয়ানমারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ চলছে

প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশি মিয়ানমারের সঙ্গে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উখিয়ার বালুখালী থেকে ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত চার লাইনের আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সড়ক নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।

শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের বালুখালী ঘুমধুম বর্ডার সড়কের প্রকল্পস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মন্ত্রী।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে উখিয়ার বালুখালী কাস্টম ঘাট থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত প্রস্তাবিত সীমান্ত সড়কের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, ইতিপূর্বে প্রস্তাবিত সড়কটি দুই লাইনে নির্মাণের খসড়া মন্ত্রী পরিষদ ও জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী পরিষদ (একনেক) সভায় উত্থাপন করা হয়। সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ কথা বিবেচনা করে প্রস্তাবিত সীমান্ত সড়কটি দুই লাইনের স্থলে চার লাইনে পরিবর্তন করার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন লাভ করেছে এবং প্রকল্প ব্যয় ৫৫ কোটি থেকে ৮৪ কোটি টাকায় গৃহীত হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী আরো জানান, সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর নির্মাণ প্রকৌশল ব্যাটালিয়ান (ইসিবি) প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। বর্তমানে প্রকল্প এলাকায় ধানক্ষেত থাকায় আগামী নভেম্বরে ধান কাটা শেষ হলে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘকালের ঐতিহাসিক সু-সম্পর্ক রয়েছে। প্রস্তাবিত সড়কটি বাস্তবায়িত হলে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা, সাংস্কৃৃতি, যোগাযোগ, পর্যটন খ্যাতসহ অর্থনৈতিক সম্পর্কও নতুন ধাপে উন্মুচিত হবে।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইসিবির প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল ওহাব, বিজিবির কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এম আনিসুর রহমান, কক্সবাজার-১৭ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রবিউল ইসলাম, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।

সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/পিআর