ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

করোনার বড় থাবা পুলিশে, রেকর্ড সংক্রমণ-মৃত্যু ডিএমপিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, ২২ জুন ২০২০

মহামারি করোনায় জননিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে সম্মুখযোদ্ধার খেতাব পাওয়া পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা রোববার (২১ জুন) পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৮৭৮ জন, যা একক পেশা হিসেবে সর্বোচ্চ। মৃত্যুহারের দিক থেকেও একক পেশা হিসেবে পুলিশই প্রথম স্থানে রয়েছে। সারাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৩১ জন পুলিশ সদস্য।

তবে বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট সব ইউনিটকে ছাড়িয়ে মহামারি করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি)। এ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরতদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ১২০ জন সদস্য।

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ইমপালস হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিক চিকিৎসায় ইতোমধ্যে ডিএমপির ১৬১২ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত বিবেচেনায় ডিএমপিতে সুস্থতার হার ৭৬.০৩ শতাংশ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ডিএমপির ১৫ জন অকুতোভয় পুলিশ জীবন উৎসর্গ করেছেন। আক্রান্ত বিবেচনায় ডিএমপিতে মৃত্যুর হার ০.৭ শতাংশ।

আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সার্বক্ষণিক তদারকি চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই দুই লক্ষাধিক নিবেদিতপ্রাণ পুলিশ সদস্য সামনের সারিতে থেকে জনগণের সেবা করে আসছেন।

ডিএমপি বলছে, আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ড. বেনজীর আহমেদ বিরামহীনভাবে করোনা প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী দিকনির্দেশনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুস্থ করতে শশব্যস্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানসহ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পাশে রয়েছেন, সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছেন তাদের সুস্থ করতে, সাহস যুগিয়েছেন আক্রান্তদের।

এর বাইরে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুস্থ করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছেন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা। তাদের আন্তরিকতা ও আপ্রাণ প্রচেষ্টায় দলে দলে সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদফতর ও প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান জানান, ডিএমপি সদস্যদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ডিএমপি কমিশনার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মাঝে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রী, পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিএমপির সব পুলিশ মেসে মৌসুমী ফল, পুষ্টিকর খাবার, ভিটামিন সি ও ডি যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে ফোর্স ও কর্মকর্তাদের মাঝে। এছাড়াও যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চার আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সদরদফতর) শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, পুলিশ ব্যারাকসহ সকল অফিস ও পুলিশ লাইন্স জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়াও ডিএমপি কমিশনার স্যার সিনিয়র অফিসারদের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম গঠন করে দিয়েছেন যারা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি করতে নিয়মিত তাদের সাথে সশরীরে দেখা করছেন ও তাদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

তিনি বলেন, নানাবিধ বাস্তবমুখী উদ্যোগের ফলে ডিএমপিতে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকাংশে বেশি।

জেইউ/বিএ/জেআইএম