বোমা হামলাকারীরা ইয়াজিদের বংশধর!
ইয়াজিদের বংশধরেরা এখনো নিপাত যায়নি। সুযোগ পেলেই তারা ধর্মপ্রাণ নিরীহ মুসলমানদের উপর আঘাত হানছে। হোসনি দালানের ভেতরে ইয়াজিদের বংশধররাই বোমা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাজিয়া মিছিলে অংশ নেয়া শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন।
শনিবার সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনি দালানের সামনে বোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে জানতে চাইলে শিয়া মতাবলম্বীরা বোমা হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এসব অভিযোগ করেন।
শিয়া মুসলমানরা বলেন, ১৪ শ` বছর আগে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে মোহাম্মদ (সা:) দৌহিত্র ঈমাম হোসেনকে যেভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল সে রকমই চেষ্টা চলেছে গত রাতে। বোমা হামলায় মারা যাওয়া কিশোরকে ঈমাম হোসেনের মতো শহীদ বলে আখ্যায়িত করেছেন তারা।
৪০ বছর ধরে তাজিয়া মিছিলে অংশ নিয়ে আসছেন বৃদ্ধ আবদুল্লাহ মনছুর। তিনি বলেন, মোহাম্মদ(সা:) দৌহিত্র ঈমাম হোসেন ১৪ শ’ বছর আগে শহীদ হয়েছিলেন। ইসলামের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। ইয়াজিদের দল হোসেনকে শিরশ্ছেদ করেছিল। এরপর ইয়াজিদেরও পতন ঘটেছে। কিন্তু আজ আমরা দেখছি ইয়াজিদের বংশধরেরা এখনো বেঁচে আছে। গত রাতে হোসনি দালানে যারা বোমা হামলা চালিয়েছে তাদের ইয়াজিদের বংশধর বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওহাব নামে অপর একজন বলেন, ইয়াজিদরা ছিল। এখনো আছে। ইয়াজিদ বংশধরদের নিপাত ঘটিয়েই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। বোমায় নিহত সাজ্জাদুল সানজু মরেনি। তিনি শহীদ হয়েছেন। বোমা হামলায় যেসব নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন তাদেরকে হোসেনের বংশধর বলেও দাবি করেন তিনি।
হোসনি দালানের তত্ত্বাবধায়ক এমএ ফিরোজ বলেন, বোমা হামলার বিষয়টি অপ্রত্যাশিত। পুলিশ আমাদের ভালই প্রটেকশন দিয়েছিল। কিন্তু মিছিল বের হওয়ার আগেই বোমা হামলা হয়।
উল্লেখ্য, মহররমের তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে প্রতিবছরই ১০ মহররম রাত থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়। শনিবার রাত আড়াইটায় হোসনি দালান থেকে বড় তাজিয়া মিছিল বের হওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময়ই এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফারণে সাজ্জাদুল সানজু নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আব্দুল কাদের জিলানী নামের একজনকে আটক করেছে চকবাজার থানা পুলিশ।
জেইউ/এসঅাইএস/পিআর