ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দেরিতে ব্রিফিং করায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের দুঃখ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ১৯ জুন ২০২০

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিন প্রতিদিন দুপুর আড়াইটায় শুরু হলেও শুক্রবার (১৯ জুন) প্রায় ১৭ মিনিট দেরি করে ২টা ৪৭ মিনিটে শুরু হয় এ বুলেটিন। দেরি করে শুরু করায় এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ব্রিফিংয়ের শুরুতে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে কেন দেরি করেছেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করেননি তিনি। এর আগেও মাঝে মধ্যে ৫-৭ মিনিট দেরিতে ব্রিফিং করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আজও দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিন কোভিড-১৯ নিয়ে আপনার সামনে হাজির হয়েছি। প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি যে, নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি বলে।’

অন্যদিকে চিকিৎসা চেয়ে গত কয়েক দিনের তুলনায় ২৪ ঘণ্টায় ফোন কলের সংখ্যা বেড়েছে। নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ফোন গ্রহণ করা হয়েছে এক লাখ ৯৬ হাজার ১৯২টি এবং এ পর্যন্ত ফোন কল গ্রহণ করা হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৬টি।’

অনলাইন প্লাটফর্ম ‘মুক্ত পাঠে’ হটলাইন সেবা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক রয়েছেন ১৬ হাজার ৩৭৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংযোজিত হয়েছেন আটজন চিকিৎসক। স্বেচ্ছাভিত্তিতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ৪ হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক, জানান নাসিমা সুলতানা।

বিভিন্ন কারণে দেশ-বিদেশে সীমিত পরিসরে হলেও যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, বিমানবন্দরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯৩ জন, স্থলবন্দরে ২৭৫ জন, সমুদ্রবন্দরে ১৪০ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৭ লাখ ২২ হাজার ২৮৫ জনকে।

দেশে করোনার চিত্র তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৩২৭টি। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৫টি এবং এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৮টি। গত ২৪ ঘণ্টায় যা পরীক্ষা হয়েছে তাতে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৩ জন এবং এ পর্যন্ত শনাক্ত এক লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল ও বাসাসহ সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৮১ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪২ হাজার ৯৪৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৫ জন এবং এ পর্যন্ত এক হাজার ৩৮৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

পিডি/এফআর/পিআর