আনসার বাহিনীর ৪৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৫ জন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৪৮৩ জন সদস্য কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আক্রান্তের মধ্যে কর্মকর্তা ৫ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ১৪১ জন, সাধারণ আনসার ৩২৬ জন, কর্মচারী ২ জন, নারী আনসার ৩ জন, ভিডিপি সদস্য ২ জন, বিশেষ আনসার ৩ জন এবং উপজেলা প্রশিক্ষিকা ১ জন রয়েছেন।
আনসার সূত্র জানায়, এ বাহিনীর মোট ৩০৩ জন সদস্য সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার প্রায় ৬৩ শতাংশ। সুস্থদের মধ্যে কর্মকর্তা ২ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ৮৩ জন, সাধারণ আনসার ২০৯ জন, কর্মচারী ২ জন, নারী আনসার ২ জন, ভিডিপি সদস্য ১ জন, উপজেলা আনসার কমান্ডার ১ জন এবং বিশেষ আনসার ৩ জন রয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন থানা, ক্যাম্প ও হোটেলে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৮৪ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯৩ জন সদস্য। ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরে আক্রান্ত সদস্য ১২৫ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ বাহিনীর তিন জন সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। গত ১১ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আব্দুল মজিদ নামে একজন সদস্য মৃত্যুবরণ করেন। আব্দুল মজিদ পিসি অঙ্গীভূত আনসার (আইডি নং-১৩১৮৯), তার বাড়ি বগুড়ায়। মৃত্যুর আগে তিনি গুলশান বিভাগের ভাটারা থানায় কর্মরত ছিলেন।
করোনায় আনসার বাহিনীর দ্বিতীয় মৃত্যুবরণকারীর নাম আব্দুস সোবহান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জুন দুপুরে তিনি বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আব্দুস সোবাহানের বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার উত্তর কালাইহাট গ্রামে। তার পিতার নাম মরহুম মোবারক। মৃত্যুর আগে তিনি হজরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন।
সর্বশেষ দায়িত্ব পালনকালে আক্রান্ত ২০ ব্যাটালিয়নের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার মো. আব্দুর রউফ (৫৫) প্রধান মারা যান। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।
এআর/জেডএ/এমএস