ওষুধের দামে নৈরাজ্য ঠেকাতে চট্টগ্রামে ‘আমার ফার্মেসি’, ১৫% ছাড়
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ওষুধের বাজার হাজারী গলিতে একের পর এক অভিযান চালিয়েও ব্যবসায়ীদের নৈরাজ্য কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। নাপার মতো সাধারণ ওষুধও মিলছে না নির্ধারিত দামে। করোনা ঠেকাতে ব্যবহার্য ওষুধ ও জীবাণুনাশক বিক্রি হচ্ছে আকাশছোঁয়া দামে। নৈরাজ্য ঠেকাতে অভিযানে গেলেই দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এমন পরিস্থিতিতে ওষুধ ব্যবসায়ীদের এ কারসাজি রুখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কৃত্রিম সঙ্কট এবং অতিরিক্ত দাম ঠেকাতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ জুন) থেকে যাত্রা করছে তার ‘আমার ফার্মেসি’।
সৎ ওষুধ ব্যবসায়ী ও কিছু স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে যাত্রা করছে ‘আমার ফার্মেসি’। সোমবার এ ফার্মেসির সমন্বয় সভার ছবি
হটলাইনে ফোন করলে বাসায়ই ওষুধ পৌঁছে দেবেন ‘আমার ফার্মেসি’র স্বেচ্ছাসেবকরা। আর সব ওষুধই মিলবে ১৫ শতাংশ কম দামে। ওসি মোহাম্মদ মহসীনের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহযোগিতা করছে চট্টগ্রামের বাইক স্টান্ট গ্রুপ ‘বিএম রাইডার্স’।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওষুধ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী কারসাজি শুরু করেছেন। কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। নগরবাসীকে ওষুধের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতেই আমাদের এই আয়োজন। বেশ কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ী আমাদের এক্ষেত্রে সহায়তা করছেন। তারা আমাদের ন্যায্যমূল্যে ওষুধ সরবরাহ করবেন। এর ওপর আমরা ১৫ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে তা নগরবাসীকে সরবরাহ করবো। মানুষের ওষুধ নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করার পাশাপাশি এক্ষেত্রে কারসাজি কমাতেও এই উদ্যোগ।’
অভিযানে গেলেই মার্কেটে তালা দিয়ে পালিয়ে যান ওষুধ ব্যবসায়ীরা, সাম্প্রতিক ছবি
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আমাদের এই সেবা শুরু হবে। নগরবাসী ফোন করলে বাসায় বসেই মিলবে ওষুধ। একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে। ০১৮৭০ ৭০০ ৭০০ নাম্বারে ফোন করলে প্রয়োজনীয় ওষুধ বাসায় পৌঁছে দেবেন আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা। এখন ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। সব ওষুধই মিলবে ১৫ শতাংশ ছাড় মূল্যে। ভর্তুকির মাধ্যমে সেই টাকা সমন্বয় করা হবে।’
চট্টগ্রামে ওষুধ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘আমরা সৎ ওষুধ ব্যবসায়ী ও ফার্মেসি মালিকদের নিয়ে কাজের পরিসরকে আরও বাড়াতে চাই। নগরের কিছু ফার্মেসি আমরা নির্দিষ্ট করবো। নগরবাসী সে ফার্মেসিগুলো থেকে সুলভ মূল্যে ওষুধ কিনতে পারবেন।’
আবু আজাদ/এইচএ/পিআর