ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এএসআই ইব্রাহিম হত্যা : বগুড়া থেকে এসেছিল খুনিরা

প্রকাশিত: ০৮:৪৭ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৫

বগুড়া থেকে আসা একটি বাসে গাবতলীতে অবতরণ করে দু’জন। গাবতলী পর্বত সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট। সেখানে আসামাত্র পুলিশি তল্লাশির মুখে পড়ে আগন্তুক ওই দুজন। এ সময় ছুরিকাঘাতের শিকার হন ইব্রাহিম মোল্লা। পুলিশ মাসুদ রানা নামে একজনকে আটক করতে পারলেও মূলহোতা পালিয়ে যায়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), দারুস সালাম থানা পুলিশ ও টহল পুলিশ সদস্যরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। আটক মাসুদ রানাকে প্রাথমিকভাবে দারুসসালাম থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ডিবি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ৮টার দিকে গাবতলী থেকে আসা একটি বাসে পর্বত সিনেমা হলের সামনে নামেন দু`জন। পর্বত সিনেমা হল সংলগ্ন চেকপোস্ট পুলিশ টিমের সঙ্গে ৮টায় যোগ দেন এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা।

পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরে ওই দুজনকে থামতে বলেন এএসআই ইব্রাহিম। তিনি তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ দেখতে চান। তল্লাশির কথা শুনেই মাসুদ রানা নামে একজন তৎক্ষনাৎ দৌড় দেন। এসময় অন্য পুলিশ সদস্যরা তাকে ধরতে ধাওয়া করেন। এরই ফাঁকে অপরজনের ছুরিকাঘাতের শিকার জন এএএসআই ইব্রাহিম।

প্রত্যক্ষদর্শী এক পুলিশ কনস্টেবল যিনি টহল টিমের পিক্যাপ ভানের চালকের আসনে বসা ছিলেন। তিনি দূর থেকে সব কিছু দেখছিলেন। নিজের নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি জানান, ইব্রাহিম মোল্লা নিচু হয়ে হেলে ওই দুই দুর্বৃত্তের কাছে থাকা ব্যাগের চেইন খোলার চেষ্টা করছিলেন। এসময় একজনকে দৌড় দিতে দেখা যায়। অন্য পুলিশ সদস্যদের কয়েকজন তাকে ধরার জন্য পেছনে ধাওয়া করে।

এরই মধ্যে অপরজন ইব্রাহিম মোল্লার পেটে ‍ও বুকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় ইব্রাহিম নিজেও দৌড়ে রক্ষা পাওয়া চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু দূর না যেতেই মাটিতে পড়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ সদস্যরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিযে যান।

দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমা আকতার জানিয়েছেন, প্রফেশনাল কিলারের হাতেই খুন হয়েছেন এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা।

তিনি বলেন, হত্যার উদ্দেশেই ইব্রাহিম মোল্লাকে তিনটি ছুরিকাঘাত করা হয়। এর একটি বুকের ডান দিকের উপরের আঘাত করা হয়। যা খুবই গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। পেটের উপরের দিকে ও পেটের নিচের দিকে আরো দুটি ছুরিকাঘাত করা হয়। পেটের নিচের দিকে ছুরিকাঘাতের কারণে তার ভুরি বের যায়। এসব ‘সিম্প্টম’ দেখে মনে হচ্ছে খুনিরা প্রফেশনাল কিলার।

এএসআই নিহতের খবরে হাসপাতালে ছুটে যান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড প্রসিকিউশন) শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) কৃঞ্চপদ রায়, মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) কাইয়ুমুজ্জামান, দারুস সালাম থানার ওসি সেলিমুজ্জামান।

ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, নিহত এএসআই ইব্রাহিম মোল্লার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার সোনারকুলি ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে। বউ ও এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন ৪৮/৩ বর্ধবাড়ি এলাকার একটি বাসার পাঁচতলায় থাকতেন তিনি। গত দেড় বছর যাবত তিনি দারুস সালাম থানায় কর্মরত।

জেইউ/বিএ

আরও পড়ুন