মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে, সচেতন না হলে নিম্নমুখী করা যাবে না
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ সকালে ইন্তেকাল করেছেন। প্রিয় দেশবাসী, প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার পরিসংখ্যান তুলে ধরা সুখকর নয়। কারণ এই সংখ্যা ও পরিসংখ্যানের মধ্যে আমি, আপনি, আমার-আপনার আপনজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, সহকর্মী, প্রতিবেশী প্রতিদিনই অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আক্রান্তের তালিকা ইতোমধ্যে বেশ দীর্ঘ। মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, প্রশাসন, অন্যান্য পেশার মানুষ, সাধারণ জনগণ এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুর তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা, আইনশৃঙ্খলা ও অন্যান্য সেবাদানকারীরা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করলেও এই সংখ্যা ও পরিসংখ্যানকে নিম্নমুখী করা যাবে না, যদি না আপনারা অর্থাৎ আমরা সচেতন না হই।’
নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমি বা আপনি একটি সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত হলে এবং পরিসংখ্যানে স্থান পেলে গবেষণার কাজে সহায়তা হবে। কিন্তু আমার-আপনার পরিবারের আপনজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকর্মী যে কষ্ট ও দুঃখের মধ্যে পড়বে, সেটা বিবেচনা করে সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, করোনা মোকাবিলায় সচেতন হোন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। মাস্ক পরুন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন, বারবার ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুবেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না। যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলবেন না। অপরিষ্কার হাত চোখে-মুখে-নাকে দেবেন না। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। করোনার ঝুঁকি বাড়ায় এমন বিষয়গুলোর প্রতি সজাগ থাকুন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য-পানীয় গ্রহণ করুন।’
এদিন তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আরও ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ১৩৯ জনে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৮৫৬ জন। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৪ হাজার ৩৭৯ জনে।
পিডি/বিএ/জেআইএম