রোববার লালা সংগ্রহের যন্ত্র জমা দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। তাদের কিটের দুটি অংশ-অ্যান্টিবডি (করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি-না, তা যাচাই করা) ও অ্যান্টিজেন্ট (করোনায় আক্রান্ত কি-না, তা শনাক্ত করা)। তার মধ্যে অ্যান্টিবডির পরীক্ষা শেষ পর্যায়ে।
অন্যদিকে লালা সংগ্রহে জটিলতা থাকায় অ্যান্টিজেন্ট অংশের কার্যকারিতা পরীক্ষা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুরোধে স্থগিত রেখেছে বিএসএমএমইউ। কফ, থুথু ছাড়া শুধু লালা সংগ্রহের ডিভাইস বা যন্ত্র ইতোমধ্যে তৈরি করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তারা আগামী রোববার (১৪ জুন) সেই যন্ত্রগুলো বিএসএমএমইউর কাছে জমা দেবে। তারপর ফের শুরু হবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিজেন্ট অংশের কার্যকারিতা পরীক্ষা।
শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান গবেষক ড. বিজন কুমার শীল।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিজেন্ট পরীক্ষার জন্য লালা সংগ্রহের ডিভাইস অলরেডি আমরা তৈরি করেছি। আমরা আশা করছি, শনিবার তো ওদের (বিএসএমএমইউ) বন্ধ, রোববারে (জমা) দিয়ে আসব।’
অ্যান্টিবডির বিষয়ে ডা. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরাই একমাত্র অ্যান্টিবডি কিট উদ্ভাবন করেছি এবং এই টেস্ট করার সক্ষমতা একমাত্র আমাদেরই আছে। আমরা অ্যান্টিবডির অনুমোদন চাচ্ছি, এটার অনুমোদন হয়ে যাক। তবে অ্যান্টিবডি অংশের রিপোর্ট বিএসএমএমইউ দিয়েছে কি-না, জানি না। আশা করছি, হয়তো আগামী সপ্তাহে হয়ে যাবে।’
অ্যান্টিবডি কিটের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে প্রখ্যাত এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘যারা বাইরে কাজ করছেন যেমন-সাংবাদিক, আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, শ্রমিক, ব্যবসায়ীরা; তাদের অ্যান্টিবডি দেখে (পরীক্ষা করে) যদি দেখা যায় যে, তাদের অ্যান্টিবডি আছে, তারা অত্যন্ত দুশ্চিন্তাহীনভাবে মাস্ক না পরেও কাজ করতে পারবেন, বাইরে যেতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কত শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি আছে বা (রোগ) প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে, যারা (করোনা) ভাইরাসকে মোকাবেলা করতে পারবেন, (তাদের) এটা (অ্যান্টিবডি টেস্ট) করা ভালো। সরকার অনুমোদন দিলেই আমরা অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করতে পারব।’
পিডি/এসআর/এমএস