ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিদ্যানন্দের ত্রাণের গাড়ি চুরি, যেভাবে উদ্ধার করলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৫ পিএম, ১০ জুন ২০২০

করোনা সংকটকালে সামনের সারি থেকে সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর কাজে ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠানটির একটি পিকআপ মঙ্গলবার (৯ জুন) ভোরে মিরপুর-১৪ এলাকা থেকে চুরি হয়। ওই ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই পিকআপসহ মো. সুমন খান নামে একজনকে গ্রেফতার করে কাফরুল থানা পুলিশ।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চুরি যাওয়া পিকআপ উদ্ধার সম্পর্কে উপপুলিশ কমিশনার (মিরপুর) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, করোনায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ত্রাণ বিতরণ শেষে মঙ্গলবার (৯ জুন) ভোর ৪টার দিকে সংস্থাটির একটি পিকআপ কাফরুল থানাধীন মিরপুর-১৪, মেট্রো শপিং কমপ্লেক্সের বিপরীতে পাকা রাস্তার ওপর পার্কিং করে হাত-মুখ ধোয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী জসিমের হোটেলে যায় চালক জাহিদ ও মমিন।

হাত-মুখ ধোয়া শেষে ২৫ মিনিট পর তারা এসে দেখেন পিকআপটি নেই। পিকআপটি না দেখে তারা দ্রুত কাফরুল থানায় রিপোর্ট করেন।

সেই সঙ্গে বিদ্যানন্দের মতো মানবিক প্রতিষ্ঠানের চুরি যাওয়া ত্রাণের গাড়িটি যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারে জোনের এডিসি, এসি ও ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে বুধবার (১০ জুন) রাতে কাফরুল থানার ওসি মো. সেলিমুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পিকআপ চুরি যাওয়ার বিষয়টি জানার পর ডিসি স্যারের নির্দেশে পিকআপ উদ্ধারে একটি টিম গঠন করা হয়।

পুলিশের টিম থানা এলাকার সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নিতে থাকে। ড্রাইভার মমিনের মোবাইল নম্বরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন করে জানায় যে, পল্লবী থানার কালশী রোডস্থ একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গাড়ির সন্ধান পাওয়া যাবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাফরুল থানার টিম ছদ্মবেশ ধারণ করে মমিনকে নিয়ে গাড়ি উদ্ধারে কালশী এলাকায় যায়।

ওসি সেলিম বলেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নম্বরের সূত্র ধরে প্রথমে কালশী পরে পল্লবী, পরে ২২ তলা গার্মেন্টস এলাকা , মিরপুর-১২, মুসলিম বাজার, সিরামিক গেট ও লালমাটিয়া এলাকায় অভিযান শেষে একপর্যায়ে মিরপুর-১২ এলাকায় এসে জানতে পারি সুমন খান নামে একজনের কাছে গেলে পিকআপের সন্ধান পাওয়া যাবে।

বুধবার ভোরে সেখানে গিয়ে কাফরুল থানার টিম সুমনকে গ্রেফতার করে। সুমন জানায়, অজ্ঞাতনামা চোরকে সে চেনে। গাড়িটি কিনতে চোরকে ৫০ হাজার টাকার প্রস্তাব দিলে গাড়ি উদ্ধার হবে। অতঃপর পুলিশের শেখানো মতে সুমন চোর চক্রের কাউকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি বলে জানিয়ে গাড়ি দিয়ে দেয়ার জন্য বলে।

ফোন কলের কিছুক্ষণ পর ড্রাইভার মমিনের ফোনে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন দিয়া জানায় যে, গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মদিনা মসজিদের বিপরীত পাশে পাকা রাস্তার ওপর আছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার সুমনকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে অভিযানে যায়। সিদ্ধিরগঞ্জে গিয়ে সকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় চুরি যাওয়া বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পিকআপটি উদ্ধার করা হয়।

ওসি সেলিম বলেন, সুমনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বরধারী ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়। সে ইতিপূর্বে অনেকগুলো গাড়ি চুরি করে সুমনের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। অজ্ঞাতনামা সব ব্যক্তিকে গ্রেফতার অভিযান চলছে।

জেইউ/এএইচ/এমকেএইচ