শতাধিক পরিবার রাঁধেন এক হাঁড়িতে, পতিত জমিতে ফলান সবজি
করোনায় পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে সারাবিশ্ব। পর্যুদস্ত বাংলাদেশও। করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কমে গেছে আয়-রোজগার।
এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন আবৃত্তিকার ডকুমেন্টারি নির্মাতা ইসরাত শিউলি। তার সঙ্গে আছেন সমগীতের সদস্য সঙ্গীতশিল্পী বিথী ঘোষ। দিন এনে দিন খাওয়া কিছু মানুষের জন্য শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
এসব মানুষের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন যৌথ রান্নাঘরের। করেছেন একবেলা খাবারের ব্যবস্থা। দিনমজুর মানুষগুলোকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিনি নিজ হাতে সবজি চাষ করছেন।
রাজধানীর আফতাবনগর এলাকার বাসিন্দা সংস্কৃতিকর্মী ইসরাত শিউলি। তার বাসার আশপাশেই থাকে কিছু দিনমজুর। প্রথমে ব্যক্তি উদ্যোগে তিনি কিছু সহায়তা করেন তাদের।
পরে বন্ধুদের পরামর্শে সবাইকে একবেলা রান্না করে খাওয়ানো আর পড়ে থাকা ফাঁকা প্লটগুলোতে সবজি চাষ শুরু করেন। যৌথ রান্নাঘর থেকে ৩২০ জন মানুষের প্রতিদিন একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
এ উদ্যোগের নাম দিয়েছেন ‘সমগীত যৌথ রান্নাঘর’ এবং ‘সমগীত যৌথ ক্ষেত-খামার’। এই উদ্যোগে তাদের সহযোগিতা করতে সহায়তার হাত বাড়াতে পারবেন যে কেউ।
আবৃত্তিকার ইসরাত শিউলি বলেন, অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করতে সবসময়ই ভালো লাগে। আগেও করেছি, কিন্তু তা এমন আয়োজন করে নয়। মূলত যৌথ রান্নাঘর, যৌথ খামার, কমিউনিটি বেজড ভাবনা ছাত্রাবস্থা থেকেই ছিল। তখন আমরা ছাত্র রাজনীতির সাথেও যুক্ত ছিলাম। দীর্ঘসময় পরে হলেও ক্ষুদ্র আকারে সেসব ভাবনাই বাস্তবায়িত হলো, যা অনেক পুরোনো স্বপ্ন। এ উদ্যোগ দুটি সক্ষমতা অনুযায়ী যতদিন সম্ভব, ততদিন চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমাদের।
এইচআর/বিএ/পিআর