পুলিশ পরিচালিত হাসপাতালে মানসম্মত সেবায় দ্রুত বাড়ছে সুস্থতার হার
করোনাযুদ্ধে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়া বাংলাদেশ পুলিশের ৩ হাজার ৪৯ জন সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাদের অনেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসাসেবায় সুস্থতার হার দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে।
সোমবার (৮ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দফতর এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৮ জুন) পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৯ জন সদস্য চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সহকর্মী হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ সেবার দৃপ্ত শপথ বুকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশ সদর দফতর জানায়, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রূষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সব পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে পুলিশে আক্রান্তের হার যেমন ক্রমান্বয়ে কমছে, তেমনি দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে সুস্থতার হার।
সোমবার (৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত পুলিশের মোট ৬ হাজার ৬১২ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ২০৬ জন। অর্থাৎ একদিনেই পুলিশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৬ জন সদস্য।
এর আগে গত ৪ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৩২৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হন। সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশের সদস্যরা।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক হাজার ৮৫০ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ পর্যন্ত পুলিশের মোট ২ হাজার ৩২ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬ হাজার ৪৭৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা।
এআর/এমএফ/এমএস