দুপুর থেকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে ডা. জাফরুল্লাহকে
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শ্বাসকষ্ট শুক্রবার (৫ জুন) দুপুর ১টার দিকে আবার বেড়েছে। তখন থেকে ডা. জাফরুল্লাহকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাত ১২টা-১টার দিকে শ্বাসকষ্ট বাড়ছিল। তখন অক্সিজেন দেয়া হয়েছিল তাকে। সেটা নিয়ন্ত্রণ হওয়ার পরে সকালে ভালোই ছিলেন তিনি। সকাল ১০টার দিকে আবার একটু বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। তবে তখন অক্সিজেন বা লেবুনাইজার দেয়া হয়নি। দুপুর ১টার দিকে শ্বাসকষ্ট আবারও বাড়ে। এখন আবার একটু কমছে। ওই অবস্থায়ই আছে। আপ-ডাউন করছে। বাড়ছে, কমছে। দুপুর ১টার পর থেকে এখনো তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে তার নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি ও অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য সবাই দোয়া করবেন। উনার শরীর ভালো না। রাতে উনার শ্বাসকষ্ট ছিল। আপনাদের সবার দোয়া খুব প্রয়োজন।।’
গত ২৪ মে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করেন তিনি। গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিটে সেই পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পিসিআর ল্যাবরেটরিতেও নমুনা পরীক্ষা করান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সেখানেও তার করোনা পজিটিভ আসে।
এরপর প্লাজমা থেরাপি নেন তিনি। এতে উপকার পাওয়ায় গত ২৮ মে রাতে দ্বিতীয়বারের মতো প্লাজমা নেন ডা. জাফরুল্লাহ। এছাড়া গত ৩০ মে রাতে তৃতীয়বারের মতো ডায়ালাইসিস করান তিনি। সেই সঙ্গে ব্রেথিং (শ্বাস-প্রশ্বাস) থেরাপিও নেন।
গত ৩১ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তার স্ত্রী ও ছেলেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো।
পিডি/এইচএ/পিআর