জেলায় ডাকযোগে যাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুদানের চেক
বেসামরিক প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ও দুর্ঘটনায় আহত হয়ে স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুদানের চেক এবার ডাকযোগে (জিইপি সার্ভিস) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
বুধবার (৩ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়। আগে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুদানের এই চেক গ্রহণ করতেন।
একই সঙ্গে জেলা পর্যায়ের অনুদানের আবেদনও বাহকের মাধ্যমে না পাঠিয়ে তা ডাকযোগে পাঠাতে বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘বেসামরিক প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মৃত্যুবরণ এবং গুরুতর আহত হয়ে স্থায়ী অক্ষমতাজনিত কারণে আর্থিক অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০১৩’ অনুযায়ী ইতোপূর্বে জেলাপর্যায়ের আর্থিক অনুদানের চেক সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে পাঠানোর নিয়ম প্রচলিত ছিল। এই মুহূর্তে বৈশ্বিক করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে সচিবালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ, মাঠ প্রশাসন ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কাজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বিতরণযোগ্য চেকগুলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে (জিইপি সার্ভিস) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।'
‘এছাড়া জেলা পর্যায়ের বিবেচনাযোগ্য অনুদান সংক্রান্ত আবেদন বাহক মারফত না পাঠিয়ে সরাসরি কল্যাণ শাখায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগের (জিইপি সার্ভিস) মাধ্যমে পাঠানো সমীচীন হবে।’
'এমতাবস্থায় বেসামরিক প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মৃত্যুবরণ এবং গুরুতর আহত হয়ে স্থায়ী অক্ষমতাজনিত কারণে আর্থিক অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০১৩’ অনুযায়ী অনুদান প্রদানের চেক বাংলাদেশ ডাক বিভাগের (জিইপি সার্ভিস) মাধ্যমে পাঠানো হবে বিধায় গ্রহণের জন্য প্রতিনিধি না পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।'
জেলা পর্যায়ের বিবেচনাযোগ্য অনুদানের আবেদন বাহকের মাধ্যমে না পাঠিয়ে তা সরাসরি কল্যাণ শাখায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য ডিসিদের অনুরোধও জানানো হয় চিঠিতে।
আরএমএম/জেডএ/জেআইএম