আমার শ্বশুর মোনেমকে গ্রাম থেকে তুলে এনেছিলেন : ডা. জাফরুল্লাহ
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মোনেম গ্রুপের চেয়ারম্যান এম আব্দুল মোনেমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমার শ্বশুর গ্রাম থেকে তুলে এনে আব্দুল মোনেমকে প্রোমোট করেছিলেন।’
মঙ্গলবার (২ জুন) রাতে জাগো নিউজের কাছে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আব্দুল মোনেমকে আমার শ্বশুর প্রোমোট করেছিলেন। গ্রাম থেকে তুলে এনেছিলেন। মেট্রিক পাশের পর ডিপ্লোমা করিয়েছিলেন। তিনি (আব্দুল মোনেম) পাকিস্তান আমলে প্রথমে ঠিকাদারির কাজ শুরু করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাস্তাঘাট নির্মাণে তার একটা বিরাট অবদান রয়েছে। তার চেয়ে বড় কথা হলো তিনি খুব নিম্ন পরিবার থেকে আসছেন, গরিবের কথা ভোলেননি। তিনি শিল্প অনুরাগী, গুড ম্যান ছিলেন। ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন আবার দান-খয়রাতও করেছেন। ব্যাপক আকারে দান-খয়রাত করেছেন তিনি।’
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমার একটা আবেদন যে, তার (আব্দুল মোনেম) চার ছেলেমেয়ে - ফারজানা, রুমা, মঈন উদ্দীন, মহিউদ্দিন। তারা যেন পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ কইরা দান-খয়রাত করে। এই দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যেন অবদান রাখে তারা। তার বাবার নামটা যেন রাখে। এই সমাজকে উন্নয়নে তাদের দায়িত্ব আছে, পিতার নামটা রাখার জন্য।’
গত ৩১ মে আব্দুল মোনেম ব্রেন স্ট্রোক করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান। তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গ্রুপ অব কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। পদ্মাসেতু সংযোগ সড়কসহ দেশের মহাসড়ক প্রায় সবই তার প্রতিষ্ঠান এএমএল-এর তৈরি। তবে ইগলু, কোক-পেপসি তাদের সহ-প্রতিষ্ঠান।
এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পর এবার তার স্ত্রী ও ছেলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ফুসফুসের এক্স-রেতে তার অবস্থার উন্নতি দেখা যায়। করোনায় আক্রান্তের পর তিনি প্লাজমা নেন। তাতে উপকার পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাতে দ্বিতীয়বারের মতো প্লাজমা নেন তিনি।
পিডি/এমএসএইচ/এমএস