যে ওষুধ সাধারণ মানুষ কিনতে পারবে না, তা দিয়ে আমার চিকিৎসা নয়
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত যে ওষুধ দেশের সাধারণ মানুষ কিনতে পারবে না, সেটা দিয়ে নিজের চিকিৎসা করাবেন না বলে জানিয়েছেন করোনা আক্রান্ত গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সোমবার (১ জুন) রাতে জাগো নিউজকে এ কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় একটি প্রতিষ্ঠান অ্যান্টিবায়োটিক বাজারে এনেছে। করোনা আক্রান্ত রোগীকে এর ৮টি ডোজ নিতে হবে। এতে খরচ হবে ৮০ হাজার টাকা। যার উৎপাদন মূল্য মাত্র ৫ হাজার টাকার মতো।
ওষুধটির নাম না উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনেক ব্যয়বহুল ওষুধের অফার এসেছিল। আমি তো বলেছি, যে ওষুধ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কিনতে পারবে না, আমি সেই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করব না। এসব নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে লাভ নেই। তবে ওদেরকে ওষুধের দাম কমাতেই হবে। সরকারের উচিত, এই ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তা নাহলে দেশের সর্বনাশ হবে। দেশের মানুষ হয়তো রোগ থেকে বাঁচবে, তারপরে অনাহারে মারা যাবে। এটা অন্যায় কাজ করছে সে (৮০ হাজার টাকা)।’
শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ভালো আছি। আজকে ওরকম শ্বাসকষ্ট নেই। সামান্য আছে, বেশি নেই। মধ্যেসধ্যে অক্সিজেন নিয়েছি। শারীরিক অবস্থার উন্নতির পেছনে বিশেষ কোনো ট্রিটমেন্ট ছিল না।’
আপাতত প্লাজমা থেরাপি নেয়ার পরিকল্পনা নেই বলেও জানান গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ।
এর আগে, গত ২৫ মে জানান যায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হলে তার করোনা পজিটিভ আসে। তার স্ত্রী ও ছেলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭২ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৩৮১ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯ হাজার ৫৩৪ জনে।
পিডি/এফআর/এমএস