পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাসার চার কর্মীর অবস্থা স্থিতিশীল
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাবুর্চি ও নিরাপত্তাকর্মীসহ চারজনের অবস্থা স্থিতিশীল। বাসাতে রেখেই তাদের চিকিৎসা চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে নিরাপত্তাকর্মীসহ চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। যদিও প্রথম পরীক্ষায় তার এবং পরিবারের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
পরবর্তী পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শাহরিয়ার আলম আইসোলেশনে থাকবেন বলে জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, প্রতিমন্ত্রী নিজেও করোনায় আক্রান্ত কর্মীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় রেখে তাদের চিকিৎসা করাচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে কারও কোনো ধরনের জটিলতা নেই।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তার বাসার চার কর্মী কারোয় আক্রান্তের খবর জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘করোনাকালে যতটা সম্ভব সাবধানে থাকার চেষ্টা করেছি। যদিও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার প্রথমদিকে মাদ্রিদ আর জেনেভা যেতে হয়েছিল। বিশ্ব তখনও এর ভয়াবহতা বুঝে ওঠেনি। অনেকদিন থেকেই শুনছি পরিচিত মানুষের পরীক্ষা করাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, কেউ হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুবরণ করেছেন একাধিক পরিচিত ব্যক্তি। তাই আমার বাসার সহকারী মিঠু যখন বলল, বাবুর্চি মুসা আর চারজন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে একজনের জ্বর তখন দেরি না করে পরীক্ষা করালাম, নিজেরসহ মোট নয়জনের। ফলাফল এসেছে মুসা ও সেই নিরাপত্তাকর্মীসহ মোট চারজন পজিটিভ। মানে বাকি দুজন পজিটিভ হয়েও কোনো লক্ষণ নেই। আমরা বাকিরা নেগেটিভ।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বাড়িতে রোগী রেখেই চিকিৎসা করাতে হবে এবং নিজেদের সুস্থ রাখতে হবে। কাজটা মোটেই সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, আমাদের সবার জন্য দোয়া করার জন্য। অসুস্থরা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং নতুন কেউ যেন সংক্রমিত না হন।’
তিনি লেখেন, ‘গত দুই মাস যেভাবে কাজ করেছি অবশ্যই চেষ্টা করব সেভাবে বাসায় থেকে কাজ করতে। অজস্র মানুষের বিভিন্ন অনুরোধ আসে আমার কাছে প্রতিদিন, এ সময় মূলত সেটা প্রবাসীদের কাছ থেকে আর অন্যদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশেদের নাগরিকদের কাছ থেকে। এলাকার দেখভাল তো আছেই। এখন আর কথা না বাড়াই। সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। ভালো থাকুন সবাই।’
জেপি/এমএআর/জেআইএম