রাতের আঁধারে তাঁত শ্রমিকদের ঘরে খাবার নিয়ে যান তারা
করোনা পরিস্থিতিতে ঘুরছে না তাঁতের চাকা। ফলে কোনো কাজ নেই। জমানো টাকাও নেই। তাই জুটছে না তাঁত শ্রমিকদের খাবার। এ অবস্থায় মানুষ মানুষের জন্য এই তাগিদ থেকে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘তামাই ক্লাব লিমিটেড'।
করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও শাহাজাদপুরসহ বিভিন্ন তাঁত পল্লীর দুই হাজার ৫৫০ পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহারসহ খাদ্যসহায়তা বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। তবে প্রকাশ্যে নয়, একেবারেই রাতে আঁধারে শ্রমিকদের বাসায় বাসায় এসব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর কাজ করেছে সংগঠনটির তরুণ সদস্যরা।
ক্লাবের সদস্যরা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাঁত শ্রমিকরা। কাজ নেই, হাতে টাকা নেই। পরে ক্লাবের তরুণ-যুবারা শ্রমিকদের এমন দুর্দশা দেখে নিজেদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে তহবিল সংগ্রহ করতে থাকে। এলাকার বিত্তবানরাও এগিয়ে আসেন তাদের এই প্ল্যাটফর্মে। রাতের অন্ধকারে ওই যুবকরা অসহায় কর্মহীন শ্রমিকের বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিতে যাচ্ছেন।
তারা আরও জানান, মানুষ মানুষের জন্য- এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে আসছে তামাই ক্লাব লিমিটেড। তাঁতপল্লীতে অনেক শ্রমিক আছে যাদের কাজ থাকলে সংসার চলে, কাজ নাই তো সংসারের চুলো জ্বলে না। আমরা কয়েকজন মিলে যতটুক পারছি সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সদস্য বাদেও অনেক বিত্তবান আমাদের মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
সংগঠনটির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সহকারী একান্ত সচিব রিসাদ মোর্শেদ।
তিনি জানান, এই ঈদে এক হাজার ২০০ পরিবারে কাছে ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে ৬০০ পরিবার ও দ্বিতীয় ধাপে ৭৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিনি নিজ উদ্যোগে বেলকুচি থানার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের কর্মীদের মাঝে ৩০০ প্যাকেট খাবার ও নগদ টাকা তুলে দেন।
এএস/জেডএ/এমএস