ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কার্ড ছাপাননি, শুভেচ্ছা বিনিময় অনিশ্চিত প্রধানমন্ত্রীর

আমানউল্লাহ আমান | প্রকাশিত: ০১:৪০ এএম, ২৩ মে ২০২০

প্রতি বছর রমজান মাসজুড়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ইফতার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি নানাজনের কাছে পাঠানো হয় ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড। ঈদের দিন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

তবে এবারের করোনা পরিস্থিতিতে ইফতারের কোনো আয়োজন হয়নি, হয়নি ঈদ শুভেচ্ছা কার্ড ছাপানো। এমনকি ঈদের দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনিশ্চিত।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্তত তিনজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বরাবরের মতো প্রতি ঈদের দিন সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতাকর্মী, বিচারক, বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তেমন কোনো শিডিউল নেই।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতে সকল সাধারণ জনগণ, নেতাকর্মী, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কূটনীতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। কিন্তু এবারের করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত প্রধানমন্ত্রীর কোনো শিডিউল এখন পর্যন্ত নেই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যতটুকু করা সম্ভব সেটাই হয়তো হবে।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তারপর দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও। এ পরিস্থিতিতে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে মানুষকে ঘরে রাখার লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। যদিও ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে খুলে দেয়া হয়েছে মসজিদ এবং দোকানপাট-শপিংমলও।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৯৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ হাজার ২০৫ জনে।

এইউএ/বিএ