জাতীয় ঈদগাহে গজিয়েছে ঘাস, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আবর্জনা
মাত্র ২-৩ দিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ দিন নতুন পোশাক পরিধান করে, গায়ে আতর মেখে ঈদগাহ ময়দানে ছুটে যান।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। দেশের রাষ্ট্রপতি, মন্ত্র-সচিবসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিসহ সাধারণ দিনমজুর সবাই ভেদাভেদ ভুলে ঈদের জামাতে শরিক হন।
নামাজ শেষে করমর্দন ও কোলাকুলি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ দেশের সব ঈদগাহে ঈদের জামাতের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বর্তমান করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের দিন জাতীয় ঈদগাহ নামাজ হবে না বলে জানিয়ে দেয়।
ইসলামী শরীয়তে ঈদগাহ খোলা জায়গায় ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে উৎসাহ দেয়া হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাতের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঈদের জামাত আয়োজনে বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। এগুলো না মানলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়।
অন্যান্য বছর জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করতে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঈদের জামাতের জন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতির সার্বিক দায়িত্ব পালন করে। বেশকিছু দিন আগে থেকেই শ্রমিকরা কাজ শুরু করে। মাঠের ঘাস কাটা থেকে শুরু করে মাটি ফেলাসহ বৃষ্টির আশঙ্কা আগাম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সারা মাঠে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
ঈদের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠ পরিদর্শন করে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করে জানায়। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সবকিছু থমকে দিয়েছে এবার, প্রস্তুত করা হচ্ছে না জাতীয় ঈদগাহ ময়দান।
বুধবার (২০ মে) বিকেলে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় প্রেসক্লাবের অদূরে কদমতলা চত্বরের পাশে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় ট্রেনে বসানোর বেশ কয়েকটি পাইপ পড়ে আছে। ভেতরে উঁকি দিতেই দেখা যায় অযত্ন-অবহেলায় মাটির ভেতরে ঘাসগুলো বেশ লম্বা। কোথাও কোথাও ময়লা-আবর্জনা ও গাছের মরা পাতা পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাঠের কোথাও কোথাও কাশফুল ফুটে থাকতে দেখা গেছে। ঈদের তিন-চার দিন আগে এমন দৃশ্য আর কখনো দেখা যায়নি।
এমইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ