অভিযোগ করলে বিদ্যুৎ বিলের সমস্যা নিষ্পত্তি হবে : প্রতিমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কারও কারও বিদ্যুৎ বিলের অস্বাভাবিকতার বিষয়ে সরকার অবহিত জানিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে এই বিষয়টা নিষ্পত্তি করা হবে’।
সোমবার (১৮ মে) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সবার অবগতির জন্য আরেকটি বিষয় জানাচ্ছি, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সকল কর্মীরা গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই দুর্যোগকালীন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার দেখা অনেক সময়ই সম্ভব হচ্ছে না। এতে গ্রাহক ও বিদ্যুৎকর্মী উভয়েরই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে। তাই অনেকের বিদ্যুৎ বিলে অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে। আমরা বিষয়টিতে সম্পূর্ণ অবগত আছি। গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে এই বিষয়টা নিষ্পত্তি করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। আমাদের উপকূল সীমানায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানলে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।’
তাই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের গতিবিধির বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ নজর রাখছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে আরইবি, ওজোপাডিকোসহ বিতরণ সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে করে তাৎক্ষণিকভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে আমাদের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। যেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে আমরা গ্যাস নিয়ে সারা দেশে গ্যাস সরবরাহ করে থাকি। ঘূর্ণিঝড় যদি আঘাত হানে, তবে আমাদের গ্যাস সরবরাহেও কিছু সময়ের জন্য বিঘ্ন ঘটতে পারে। তবে আমরা সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, যাতে এমন পরিস্থিতিতে দ্রুতই সবকিছু আবার চালু করতে পারি।’
আরএমএম/এফআর/পিআর