ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা পুরান ঢাকার মানুষ বেপরোয়া

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ১৭ মে ২০২০

দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পরে ১৮ মার্চ এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগী মারা যান বাংলাদেশে। সর্বশেষ আজ ১৭ মে পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২২ হাজার ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩২৮ জনের। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৩ জন ।

করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আজ ১৭ মে একদিনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৭৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার নতুন রেকর্ড হয়। দেশে গত ৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আজ ১৭ মে পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২২ হাজার ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩২৮ জনের।

jagonews24

আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে মোট আক্রান্ত রোগীর ৮৫ শতাংশ ঢাকা বিভাগের। আর ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানী ঢাকা সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। রাজধানী ঢাকার মধ্যে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা সংক্রমণের হটস্পট হলেও এসব এলাকার মানুষ বেপরোয়া। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে যখন-তখন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় বের হচ্ছেন তারা। বিশেষত অল্প বয়সী তরুণরা সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ঘোরাফেরা করছেন। নগরীর অন্যান্য এলাকার তুলনায় পুরান ঢাকার রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল অনেক বেশি।

jagonews24

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক আজ (১৭ মে) বিকেলে লালবাগ, চকবাজার, চানখারপুল, নাজিমুদ্দিন রোড, জেলখানা রোড, সাতরওজা, বংশাল, কাজী আলাউদ্দিন রোডসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেছেন, রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। বেশিরভাগ লোকজনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বালাই নেই। রাস্তাঘাটের কোথাও কোথাও রীতিমতো যানজট তৈরি হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আগে যেমন হইচই চিৎকার-চেচামেচি শোনা যেত, এমনই চিৎকার-চেচামেচি আজও শুনতে পাওয়া যায়।

jagonews24

দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় হোটেলে ও রাস্তার পাশে ফুটপাতে ইফতারসামগ্রী সাজিয়ে বসে দোকানিরা। এছাড়া বিভিন্ন ফলমূল, শাকসবজি ও স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদি পণ্য বিক্রেতারা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। দৃশ্যত দেখে বিন্দুমাত্র বোঝার উপায় নেই এসব এলাকা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তি সচেতনতার বিকল্প নেই। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করার পরও পুরান ঢাকার লোকজন তা মানছে না। নানা উসিলায় ঘরের বাইরে বের হওয়া তাদের জন্য চরম ঝুঁকি তৈরি করছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

এমইউ/এনএফ/এমএস