ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার পথে ২৪২ বাংলাদেশি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ১৬ মে ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে আটকেপড়া ২৪২ জন বাংলাদেশি নাগরিক ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইট তাদেরকে নিয়ে ওয়াশিংটনের ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার (১৬ মে) রাতে ঢাকার উদ্দেশে আকাশে ওড়াল দেয়।

শনিবার (১৬ মে) ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

us-3.jpg

কাতার এয়ারওয়েজের অত্যাধুনিক অ-৩৫০-৯০০ ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন সময় রাত ১১টা ৪ মিনিটে যাত্রা শুরু করে। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় বিমানটি দোহা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে। এক ঘণ্টা টেকনিক্যাল যাত্রা বিরতির পর বিমানটি দোহা স্থানীয় সময় রাত ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। যাত্রা বিরতির সময় সকল যাত্রী বিমানের অভ্যন্তরে স্ব-স্ব আসনে অবস্থান করবেন।
রোববার (১৭ মে) বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী, ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসায় যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিক এবং সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া যাত্রীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এডুকেশন ও কালচারাল কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ৪৯ জন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও আছেন।

us-3.jpg

৪ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাতার এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমানটি ভাড়া করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অরিক্স এভিয়েশন লি. বিমান ভাড়া এবং টিকিট দেয়ার কাজ করে।

এর আগে ৩০ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক ও লস এঞ্জেলেস বাংলাদেশ কনস্যুলেট তাদের ওয়েবসাইটে নিজ খরচে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করেন।

পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রী কোভিড-১৯ উপসর্গবিহীন মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে বিমানে ওঠেন। ঢাকায় অবতরণের পর প্রত্যেক যাত্রী হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেবেন।

জেপি/এফআর/এমএস