ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচার : অধ্যাদেশ জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩১ পিএম, ০৯ মে ২০২০

ভিডিও কনফারেন্সিং ও অন্যান্য তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনার বিধান রেখে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ জারি করেছে সরকার...

গত বৃহস্পতিবার (৭ মে) মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর শনিবার (৯ মে) রাতে অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এটি জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘এই ব্যবস্থায় আসামীকে জেলখানায় রেখে, আইনজীবীকে বাসায় রেখে ও সাক্ষীকে অন্য জায়গায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সিং ও অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করে বিচারকার্য করা সম্ভব হবে।’

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাই থাকুক না কেন, যেকোনো আদালত এই অধ্যাদেশের অধীন জারি করা প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) সাপেক্ষে, অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষগণ বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীদের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করে যেকোনো মামলার বিচার বা বিচারিক অনুসন্ধান বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি বা সাক্ষ্য গ্রহণ বা যুক্ততর্ক গ্রহণ বা আদেশ বা রায় প্রদান করতে পারবে।

অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষগণ বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীদের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণ করতে হবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা হলে ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা অন্য কোনো আইনের অধীন আদালতে তার সশরীরে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শর্ত পূরণ হয়েছে বলে গণ্য হবে।

এতে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।

অধ্যাদেশে ভার্চুয়াল উপস্থিতির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘ভার্চুয়াল উপস্থিতি’ অর্থ অডিও-ভিডিও বা অনুরূপ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির আদালতের বিচার বিভাগীয় কার্যধারায় উপস্থিত থাকা বা অংশগ্রহণ।

মন্ত্রিসভায় অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের সময় জানানো হয়, সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে মাসাধিককাল ধরে কতিপয় ব্যতিক্রম ব্যতীত আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মানুষের সমাগম হয় এমন সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আদালত বন্ধ থাকার মামলাজট যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বিচারপ্রার্থীরা বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে এবং বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম করার জন্য আইনি বিধান প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

সেজন্য এই অধ্যাদেশের খসড়াটি প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখন পার্লামেন্ট চালু না থাকায় আইন করা যাবে না বলে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে অধ্যাদেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন আইন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করে দেবে। পার্লামেন্ট বসার প্রথম দিনই এটি সেখানে উপস্থাপিত হবে।’

অধ্যাদেশ দেখতে ক্লিক করুন

আরএমএম/এনএফ/এমএসএইচ/এমকেএইচ/জেআইএম