পোশাক শ্রমিকদের মজুরি কর্তনের প্রতিবাদ
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি কর্তন করে ৬৫ ভাগ দেয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১১ সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। শুক্রবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ জানান।
তারা বিবৃতিতে বলেন, যেখানে রাষ্ট্রের কোনো দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কর্তন করা হয় নি, সেখানে নিম্ন আয়ের শ্রমিকের মজুরি কর্তন মালিকদের একটি অন্যায় পদক্ষেপ। কঠিন এক দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের ডেকে এনে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ সারা দেশকে করোনা ঝুঁকিতে ফেলে কারখানা চালু করেছে গার্মেন্টস মালিকরা।
তারা আরও বলেন, যখন প্রয়োজন ছিল কর্মরত এসব শ্রমিকের বীমা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা তখন উল্টো কারখানায় অনুপস্থিত শ্রমিকদের ৩৫ ভাগ মজুরি কর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ। করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় যেখানে শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মজুরি আরও বৃদ্ধি প্রয়োজন সেখানে শ্রমিকদের মজুরি কর্তনের সিদ্ধান্ত শুধু অমানবিক-ই নয়, সারাদেশের মানুষকে বিস্মিত করেছে। তাই নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে সব শ্রমিকের পূর্ণ মজুরি ও বোনাস প্রদানের আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে ১১ শ্রমিক সংগঠনের যেসব নেতারা স্বাক্ষর করেছেন- অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রেজা, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, বাংলাদেশের সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এ এ এম ফয়েজ হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সভা সভাপতি শামসুজ্জোহা, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক বিপ্লব ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এফএইচএস/এমএফ/পিআর