ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

করোনার উপসর্গ নিয়ে সময়ের আলোর আরেক সাংবাদিকের মৃত্যু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, ০৬ মে ২০২০

করোনাভাইরাসের উপসর্গ তথা জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে মারা গেছেন দৈনিক সময়ের আলোর পত্রিকা আরেক সাংবাদিক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নিহতের নাম মাহমুদুল হাকিম অপু। তিনি পত্রিকাটিতে সাব-এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৫ মে) সেহরির জন্য ডাকতে গেলে সাংবাদিক স্বামীকে মৃত অবস্থায় পান তার স্ত্রী।

এ বিষয়ে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাংগঠনিক সম্পাদক ও সময়ের আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাহমুদুল হাকিম অপু করোনার উপসর্গ নিয়ে বাসাযই ছিলেন। আজ ভোর রাতে তার স্ত্রী সেহরি খাওয়ার জন্য তাকে ডাকতে গেলে দেখতে পান, তার স্বামী আর নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পত্রিকার খোকন ভাই মারা যাওয়ার পর অন্ততপক্ষে পাঁচজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এছাড়াও অনেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে বাসায় বসবাস করছেন।’

এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল পত্রিকাটির সিটি এডিটর ও প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবীর খোকন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর তার স্ত্রী ও ছেলের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। তার স্ত্রী বর্তমানে আইসিইউতে।

এদিকে, বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মহাপরিচালক এসএম হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার (৩ মে) নমুনা পরীক্ষার পর তাদের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। বিটিভির একটি সূত্র বিষয়টি জাগো নিউজকে জানিয়েছে। হারুন অর রশীদের শরীরে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়ায় তার সংস্পর্শে আসা বিটিভির সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এ কারণে বিটিভির নির্ধারিত কিছু অনুষ্ঠান সম্প্রচার বাতিল করে পুরনো অনুষ্ঠান চালানো হতে পারে বলে জানা গেছে।

এর আগে শনিবার (২ মে) রাত পর্যন্ত বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির মোট ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গেছে। এর মধ্যে দুজন রিপোর্টার, একজন নিউজ এডিটর, ছয়জন ক্যামেরাম্যান ছাড়াও নিউজ প্রেজেন্টার ও মেকআপম্যানসহ আরও চারজন রয়েছেন।

এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। এ নিয়ে করোনায় মোট ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৯০ জন। ফলে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৭১৯ জনে।

এইচএস/এফআর/এমএস